Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » রহস্যময় যে কোডারদের ওপর নির্ভর করছে বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ




তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম বড় বাস্তবতা হলো ক্রিপটোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা। আর ক্রিপ্টো-দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম বিটকয়েন। বিভিন্ন দেশের কোটি কোটি মানুষ এ মুদ্রার লেনদেন ও কেনাবেচা করছেন। প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত) ২০০৯ সালে চালু হওয়ার পর গত বছরগুলোতে নানা চড়াই উতরাই পার করেছে বিটকয়েন। বর্তমানে এটি একটি প্রতিষ্ঠিত ডিজিটাল মুদ্রা। একটা কয়েনের মান ২১ হাজার ডলারের বেশি, প্রতিদিন যার লেনদেন হচ্ছে কোটি কোটি ডলারের। এ মুদ্রা দিয়ে চলছে কেনাবেচাও। কিন্তু বহুল আলোচিত এই মুদ্রাটি কে তৈরি করেছে আর কারাই বা এর নিয়ন্ত্রণ করে? এর উত্তরে খুব বেশি কিছু জানা যায় না। মাঝে মাঝে যেসব তথ্য সামনে আসে সেগুলোও নানা রহস্যে মোড়া। তবে এর উদ্ভাবক ও নিয়ন্ত্রকদের সম্পর্কে জানা গেলেও কারা ‘মেইনটেইন’ বা দেখভাল করছেন, তা জানা গেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে তাদের কথা উঠে এসেছে। প্রতিবেদন মতে, বিটকয়েন নেটওয়ার্ককে প্রায়ই ‘বিটকয়েন কোর’ বা বিটিসি কোর বলা হয়ে থাকে। মাত্র ছয় সদস্যের একটি ছোট্ট দল বিটকয়েন নেটওয়ার্ক ও এর প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার দেখভাল করছেন। আরও পড়ুন: ছয় মাসের সর্বোচ্চ দামে বিটকয়েন তাদের ‘মিস্ট্রিয়াস কোডারস’ বা ‘রহস্যময় কোডার’ বলে অভিহিত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ রহস্যময় এই ছয় কোডারের ওপরই নির্ভর করছে। বিটকয়েন নেটওয়ার্কের খুটিনাটি বিভিন্ন ত্রুটিবিচ্যুতি থেকে শুরু করে পুরো ব্যবস্থাটি গোপনে দেখাশোনা করে এই দলটি। এজন্য এদের ‘মেইনটেইনার’ও বলা হয়ে থাকে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদক দাবি করেছেন, দলটি সম্প্রতি অন্তত একবার গোপনে বিটকয়েন নেটওয়ার্কের বড় একটি ত্রুটি সংশোধন করেছে। যে ত্রুটি ডিজিটাল মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টো মুদ্রার মূল্যমানকে ধ্বংস করতে পারত। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো নামে এক ব্যক্তি বিশ্বের প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি মুদ্রা বিটকয়েন চালু করেন। তবে এ নাকামোতো সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না। তিনি যেন এক রহস্যমানব। বর্তমানে ছয় সদস্যের ওই কোডার দলটিকেই নাকামোতোর উত্তরসূরী হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। তবে ছয় সদস্যের দলটিকে সহযোগিতার জন্য বিশাল একটা ‘ডেভেলপার কমিউনিটি’ রয়েছে। কম্পিউটারের আধুনিক অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে বিটকয়েন সফ্টওয়্যারটি ঠিকমতো চলছে কিনা, সেটা নিশ্চিত করতে কোডারদের সহযোগিতা করে থাকেন এই ডেভেলপাররা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে, ২০০৯ সাল থেকে কোডারদের দলটিতে ১৭ জন সদস্য ছিল। তবে সম্প্রতি অনেকেই পদত্যাগ করেন। এর মধ্যে গত ১৮ মাসেই অন্তত চারজন পদত্যাগ করেছেন। এই মুহূর্তে দলটিতে আর মাত্র ছয়জন অবশিষ্ট আছেন। ছোট্ট দলটির মাত্র একজন কোডারের নাম প্রকাশ করা হয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে। ওই কোডারের নাম অ্যান্ড্রু চৌ। প্রতিবেদন মতে, হাইস্কুলে পড়ার সময়ই বিটকয়েন নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করেছিলেন চৌ। তার বাবা-মা কিছুই জানতেন না। এমনকি তখনও তার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। আরও পড়ুন: বিটকয়েন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন মাস্ক? সেই কিশোর বয়সের চৌ একটা ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলেন। যার নাম ‘আই উইল ওয়ার্ক ফর বিটকয়েন’। এর সঙ্গে তিনি একটি অনলাইন ওয়ালেট যুক্ত করেন। এটা দিয়ে তিনি মানুষের কাছে অর্থ সহায়তা চাইতেন। সাত বছর পর চৌ-ও বিশ্বের সেই ছয়জন প্রভাবশালীর একজন হয়ে ওঠেন, যারাই কেবল বর্তমানে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের সফ্টওয়্যারে যেকোনো পরিবর্তন-পরিমার্জন করার ক্ষমতা রাখেন। বিটকয়েনের জন্য তাদের এই কাজ অতি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমানে যারা বিটকয়েনের প্রকৃত মালিক, সেই লাখ লাখ মানুষের কাছে এই কোডাররা একেবারেই অজানা-অপরিচিত।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply