সুদানে সংঘাত দূতাবাস বন্ধ করে পালিয়েছেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা

সুদানে সংঘাত দূতাবাস বন্ধ করে পালিয়েছেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা সুদানের চলমান সংঘাতের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস। এতে বিপাকে পড়েছেন অসংখ্য সুদানি। বারবার পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মিলছে না সমাধান। দূতাবাস বন্ধ করে পালিয়েছেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা

দেশটিতে নতুন করে ঘোষিত অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করে তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যকার সংঘর্ষ। আর এতেই বিপাকে পড়েছেন দেশটির বাসিন্দারা। বিশেষ করে যারা পাসপোর্ট দিয়ে আবেদন করেছিলেন অন্য দেশে যাওয়ার, তারা পড়েছেন অথই সাগরে। কারণ, সংঘর্ষে ধ্বংসপ্রায় দূতাবাসগুলো বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন কূটনীতিকরা। এ অবস্থায় বিভিন্ন উপায়ে পশ্চিমা দূতাবাসে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও মিলছে না কোনো সুরাহা। মার্চের শেষের দিকে খার্তুমের সুইডিশ দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করেন এবং পাসপোর্ট জমা দেন আহমেদ মাহমুদ। কিন্তু যখন সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়, তখন সুইডিশ কূটনীতিকরা কনস্যুলার পরিষেবা স্থগিত করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। আরও পড়ুন: সুদানের রাজধানী খার্তুমে নিরাপত্তা জোরদার মাহমুদ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে একজন সুইডিশ কূটনীতিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি অন্তত তার পাসপোর্ট ফেরত দেয়ার জন্য আকুতি করে অনুরোধ জানান। কিন্তু তারা উত্তরে লিখেছেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, এ মুহূর্তে সম্ভব নয়।’ শুধু মাহমুদই নন, হাজার হাজার সুদানির পাসপোর্ট আটকে আছে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে। এদিকে সংঘাতের জেরে সুদান ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ। হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয় মিশর সীমান্তের কাছে। তবে সেখানেও দুর্ভোগ ছাড়ছে না তাদের পিছু। সীমান্তে গাড়িচালকদের হাতে জিম্মি হচ্ছেন তারা। শুধু তা-ই নয়, সীমান্ত অতিক্রম করতে একটি বাসের জন্য ৪০ হাজার ডলার গুনতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। আরও পড়ুন: সুদান থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে চলা দুপক্ষের সংঘাতের কারণে সংকট দেখা দিয়েছে খাদ্য, পানি ও জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জামের। এমনকি এ মুহূর্তে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে কোনো তহবিল গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দেশটির জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। অন্যদিকে সুদান ইস্যুতে আগের নীতি থেকে সরে এসেছে ব্রিটিশ সরকার। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের-এনএইচএস সুদানে অবস্থানরত চিকিৎসকদের ফ্লাইট ধরতে বলেছে লন্ডন। এর আগে ব্রিটিশ নাগরিক না হওয়ায় ২০ জনের বেশি এনএইচএস চিকিৎসককে ব্রিটেনে আসার অনুমতি দেয়নি ব্রিটিশ সরকার।