Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খসড়া আইন পাঠদানের মাঝপথে ফি বাড়ানো নয়




শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মাঝপথে ফি বাড়ানো যাবে না। কোনো শিক্ষার্থী কোনো প্রোগ্রামে ভর্তির সময় যে ফি কাঠামোয় ভর্তি হবেন, সে প্রোগ্রাম শেষ না হওয়া পর্যন্ত একই ফি থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করতে শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার মানদণ্ডে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি শিক্ষার্থী ফি কাঠামো তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন নেবে এবং সরকারকে তা অবহিত করবে। ফি কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন আনতে হলে ইউজিসির অনুমোদন নিতে হবে। এ ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডে একই পরিবারের তিনজনের বেশি থাকতে পারবেন না। এসব বিধান রেখে নতুন করে সংশোধন করা হচ্ছে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’। আইনটি সংশোধনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এরই মধ্যে একটি খসড়া তৈরি করেছে খসড়া প্রণয়ন কমিটি। সম্প্রতি তা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এই খসড়া প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক হলেন ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। কমিটির সদস্য সচিব মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আব্দুল মতিন। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন– বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম শাহী আলম, ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ এবং একই বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২ প্রণীত হলে এর আওতায় ওই বছরেই দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। ১৮ বছর পর ২০১০ সালে এ আইন সংশোধন করা হয়। বর্তমানে বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে এই আইনটি ফের সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হচ্ছে। খসড়া প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা জানান, সংশোধিত আইনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় প্রথমবারের মতো সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদেরও ভূমিকা রাখার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যা বর্তমান বিদ্যমান আইনে নেই। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ট্রাস্টি বোর্ডে কমপক্ষে দু’জন শিক্ষাবিদ রাখতে হবে। ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোনো লাভজনক, গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সভায় অংশগ্রহণের জন্য তাঁরা কোনো সম্মানী পাবেন না। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় সংরক্ষিত তহবিলের অঙ্ক বাড়ানো হয়েছে। বর্তমান আইনে ঢাকা শহরের জন্য ৫ কোটি, অন্যান্য মেট্রোপলিটন সিটির জন্য ৩ কোটি এবং জেলা শহরের জন্য ২ কোটি টাকার সংরক্ষিত তহবিল রাখার বিধান আছে। সংশোধিত আইনে ঢাকা ও অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য ৮ কোটি এবং জেলা শহরের জন্য ৫ কোটি টাকার তহবিল সম্পূর্ণরূপে দায়মুক্ত অবস্থায় রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইউজিসি উচ্চ শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সব ক্ষেত্রে নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে শৃঙ্খলা বিধান করবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন, সম্প্রসারণ এবং গণতন্ত্রমনা, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন আদর্শ নাগরিক ও বিশ্বমানের দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পৃষ্ঠপোষকতা দেবে। ইউজিসির প্রতিষ্ঠাকালে দেশে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না এবং বর্তমানে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১১১টি এবং আরও নতুন নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বিবেচনাধীন। এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে এবং দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী এখানে শিক্ষা লাভ করছে। এতে আরও বলা হয়, দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে ব্যবধান কমিয়ে আনা প্রয়োজন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, একাডেমিক, আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম এবং আইন অমান্যের প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে, যা জাতির জন্য গভীর উদ্বেগের। এসব বিবেচনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ, সুষ্ঠু তদারকি ও উচ্চ শিক্ষায় সুশাসন ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ, কমিটিগুলো এবং ইউজিসির আরও ক্ষমতায়ন ও আইনের কঠোর ও দ্রুত প্রয়োগ আবশ্যক। আইনের প্রণীত খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন সরকারের কাছ থেকে সাময়িক অনুমতিপত্র বা ক্ষেত্রমতে সনদপত্র গ্রহণ ব্যতীত বাংলাদেশের কোনো স্থানে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং ইউজিসি থেকে অনুমতি গ্রহণ ব্যতীত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে না। বাংলাদেশে কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স পরিচালনা, পরীক্ষা গ্রহণ বা কোনো ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট দেওয়া যাবে না। এই বিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে দেওয়া যে কোনো ডিগ্রি, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এমন কোনো নামে স্থাপন করা যাবে না, যে নামে এই আইন বা অন্য কোনো আইনের অধীন কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা বিদেশে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় ইতোপূর্বে স্থাপিত হয়ে সে নামে বহাল আছে বা যে নামে আগে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বহাল ছিল কিন্তু বর্তমানে সে নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বহাল নেই বা সে নামের সঙ্গে প্রস্তাবিত নামের সাদৃশ্য আছে। এ ছাড়া জেলা, শহর, বিভাগ ও দেশের নাম, ‘জাতীয়’, ‘আন্তর্জাতিক’ এই ধরনের কোনো শব্দ ব্যবহার করে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তাব করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড বিষয়ে আইনের খসড়ায় বলা আছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঠিক পরিচালনার স্বার্থে একই পরিবারের তিনজনের বেশি সদস্য ট্রাস্টি বোর্ডে থাকতে পারবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, বোর্ড অব ট্রাস্টিজে অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ থাকতে হবে। ইউজিসির সুপারিশক্রমে সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজে কোনোরকম পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা পরিমার্জন করা যাবে না। প্রয়োজনে বোর্ড অব দ্য ট্রাস্টিজে ইউজিসি বা সরকার কর্তৃক সাময়িকভাবে একজন পর্যবেক্ষক মনোনয়ন করা যাবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বা ভবন শিক্ষা, গবেষণা, সহশিক্ষা এবং পাঠক্রমবহির্ভূত শিক্ষা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। খসড়ায় বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষে ভর্তি করা শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে শতকরা তিন ভাগ আসন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা তাঁদের কন্যা/পুত্রের সন্তান এবং শতকরা ৬ ভাগ আসন মেধাবী অথচ দরিদ্র, প্রত্যন্ত অনুন্নত অঞ্চলের দরিদ্র শিক্ষার্থী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দরিদ্র বা তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের বা দরিদ্র বিধবা মায়ের সন্তানদের বা স্বামী পরিত্যক্তা দরিদ্র মায়ের সন্তানদের ভর্তি সংরক্ষণ করে এসব শিক্ষার্থীকে কোনো ধরনের ফি ছাড়াই সম্পূর্ণ বিনা খরচে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ দিতে হবে এবং প্রতি শিক্ষা বছর বা সেমিস্টারে অধ্যয়নরত এ রকম শিক্ষার্থীর তালিকা ইউজিসিতে দাখিল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারই প্রথম আইন করে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ সমকালকে বলেন, আইনটি সংশোধন করা হলে তা উচ্চ শিক্ষার পথ সুগমের জন্য আরও সহায়ক হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অধিকার আরও রক্ষিত হবে। তিনি বলেন, প্রণীত খসড়ার ওপর ইউজিসির মতামত চাওয়া হয়েছিল। আমরা মতামত মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখন মন্ত্রণালয় পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১) ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ইউজিসির মতামত আমরা পেয়েছি। এখন আইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১০টি মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হচ্ছে। সবার মতামত পেলে সভা ডেকে আমরা খসড়া চূড়ান্ত করব।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply