নিখোঁজ সেই সাবমেরিনে কারা ছিলেন?
আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিনটির এখনও কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। রোববার (১৮ জুন) নিখোঁজ হয় ‘টাইটান সাবমার্সিবল’ নামের ওই সাবমেরিনটি।
যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সাগরে ডুব দেয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরে ছোট আকারের ওই সাবমেরিনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পানির নিচে যাওয়ার সময় সাবমেরিনটিতে সাধারণত চার দিন চলার মতো জরুরি অক্সিজেন থাকে।
এই ভ্রমণের আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান ওশেনগেট জানিয়েছে, সাবমেরিনে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করতে সবগুলো বিকল্প যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেকটা ট্রাক আকৃতির এই সাবমেরিনে পাঁচজন ব্যক্তি উঠতে পারেন। সরকারি সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার নৌবাহিনী এবং গভীর সাগরে কাজ করে, এমন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: টাইটানিক দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিনে অবশিষ্ট আছে ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন
প্রাথমিকভাবে ওই সাবমেরিনে থাকা পর্যটকদের সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও পরে জানা যায়, এটিতে পাইলট এবং একজন ক্রু ছাড়াও আরও তিনজন পর্যটক ছিলেন। পর্যটকদের মধ্যে আছেন ব্রিটিশ অভিযাত্রী হামিশ হার্ডিং। তিনি একটি অ্যাভিয়েশন ফার্মের মালিক। এর আগে হার্ডিং মহাকাশেও পর্যটক হিসেবে ভ্রমণ করেছেন হামিশ। এই মিশনে যাওয়ার আগে রোববার নিজের ইন্সটাগ্রামে নিজেই সেই খবর দিয়েছিলেন।
এছাড়া সাবমেরিনটিতে পাকিস্তানি বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ ছিলেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তার পরিবার জানিয়েছে, তাদের বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য তারা জানেন না।
আরও পড়ুন: টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পর্যটকবাহী সাবমেরিন নিখোঁজ
১৯১২ সালে তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী এই জাহাজ সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্রথম সমুদ্রযাত্রায় বিশাল বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। জাহাজটিতে ২ হাজার ২০০ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তাদের মধ্যে এক হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মারা যান।
১৯৮৫ সালে ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়ার পর থেকে টাইটানিক নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে। প্রায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটক বিখ্যাত এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিকের তলদেশে ভ্রমণে যান। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে জাহাজের ধ্বংসাবশেষের অবস্থান রয়েছে।

No comments: