Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » কমাথায় অভিযোগের বোঝা ট্রাম্প কি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন?




কমাথায় অভিযোগের বোঝা ট্রাম্প কি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন? যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছরই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচন সামনে করে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন লড়াই শুরু হতে যাচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ আগেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছেন। জনমত জরিপে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।িন্তু তার আগেই একের পর এক মামলার বেড়াজালে আটকে গেছেন রিপাবলিকান এ নেতা। তার মাথার ওপর ঝুলছে প্রায় তিন ডজন মামলার খড়্গ। এসব মামলায় এরই মধ্যে বিচার শুরু হয়েছে। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে কারাদণ্ডও হতে পারে। প্রশ্ন হলো, কারাদণ্ড হলে কী হবে ট্রাম্পের? তিনি কি নির্বাচন করতে পারবেন?

যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে অনাকাঙিক্ষতভাবে হেরে যান ট্রাম্প। বিদায় নিতে হয় হোয়াইট থেকে। কিন্তু সেই থেকে বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না সাবেক মার্কিন এই প্রেসিডেন্টের। আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে নিয়ে টিভি সাক্ষাৎকারে যা বললেন পর্ন তারকা স্টর্মি পর্ন তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার ঘটনায় গত মার্চে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হন ট্রাম্প। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার হোয়াইট হাউজের গোপন নথি সরিয়ে ফেলার অভিযোগে তাকে ‘ফেডারেল অপরাধে’র মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও পরমাণু বিষয়ক রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সরিয়ে ফেলা ও ন্যায়বিচারে বাধা সৃষ্টি করাসহ ৩৭টি সুনির্দিষ্ট ফৌজদারি অপরাধে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেছে দেশটির বিচার বিভাগ। শুক্রবার (৯ জুন) তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রকাশ করা হয়। মঙ্গলবার (১৩ জুন) ৭৭তম জন্মদিনে মায়ামি আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের। অভিযোগ অনুযায়ী, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউজের গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ের নথিসহ 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক অস্ত্র' ও 'বিভিন্ন দেশের পারমাণবিক সক্ষমতা' সম্পর্কিত নথিপত্র রাখার অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে কিছু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের সামরিক সক্ষমতার বিবরণ রয়েছে। আরও পড়ুন: পারমাণবিক কর্মসূচির গোপন নথি বাথরুমেও রেখেছিলেন ট্রাম্প অভিযোগে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের কাছে থাকা গোপন নথিতে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির বিস্তারিত ছিল। এসব নথি বেহাত হলে হুমকির মুখে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা। ২০২১ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুই দফায় পারমাণবিক অস্ত্র–সম্পর্কিত গোপন নথি অন্যদের দেখিয়েছিলেন ট্রাম্প। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প এমন সব লোকদের নথিগুলো দেখিয়েছেন যাদের এই নথিগুলো দেখার ও পর্যালোচনা করার কোনো অধিকার বা ছাড়পত্র নেই। পরবর্তীতে তার ব্যক্তিগত আইনজীবীদের কাছ থেকে নথিগুলো গোপন করার চেষ্টা করেছিল। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার তার আইনজীবীদের কাছ থেকে নথিগুলো ফেরত চেয়েছিল এবং তার আইনজীবীরা সেগুলো ফেরত দিতে রাজি হয়েছিল। আগামী মঙ্গলবার (১৩ জুন) দক্ষিণ ফ্লোরিডায় আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। তবে আদালতে কি হবে তা এখনও পরিষ্কারভাবে বলা যাচ্ছে না। সরকারি নথি ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন বা ধ্বংস করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন কিনা তা নিয়ে আইনি বিশেষজ্ঞরা দ্বিমত পোষণ করেছেন। তবে ফেডারেল আইন অনুসারে জাতীয় প্রতিরক্ষা গোপন করে গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘন করলে ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে এবং বিচারে বাধা দিলে ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। তবে ট্রাম্পের সর্বোচ্চ শাস্তির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা কম। আরও পড়ুন: ট্রাম্পের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাইক পেন্স এদিকে হঠাৎ করেই ট্রাম্পের দুই আইনজীবী জিম ট্রাস্টি ও জন রাউলি মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে ট্রাম্পের অন্য আইনজীবীরা বলছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘন, ন্যায়বিচারে বাধা ও ষড়যন্ত্রসহ সাতটি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। সব অভিযোগ প্রমাণিত হলেও ট্রাম্পের নির্বাচনে যেতে কোনো বাধা থাকবে না। তারা আরও বলছেন, বিচার ও রায় হতে অনেক লম্বা সময় লাগবে। ট্রাম্প এই সময়ে অবাধে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন। সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে একজনকে আমেরিকার জন্মগতভাবে ৩৫ বছর বয়সের নাগরিক হতে হয়। এছাড়া কমপক্ষে ১৪ বছর স্থায়ীভাবে আমেরিকায় বসবাস করতে হয়। ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক জন হেনসেনের মতে, ট্রাম্প সাধারণ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দণ্ডিত হলেও নির্বাচনে প্রার্থী হতে তার কোনো বাধা থাকবে না; যদি না তিনি দেশদ্রোহিতা ও অবৈধভাবে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র না করে থাকেন। এদিকে ট্রাম্প নিজেকে সম্পূর্ণ ‘নির্দোষ’ দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) এক ট্রুথ সোশ্যালে তিনি বলেন, যদি দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারেও পাঠানো তারপরও তার নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে কোনো বাধা থাকবে না। একই কথা বলছেন আইন বিশেষজ্ঞরাও। তাদের মতে, ট্রাম্প যদি জেলেও যান, তবু সেখানে থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারবেন। এমনকি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার ক্ষেত্রেও তাকে বাধা দেয়ার কোনো আইনি ভিত্তি থাকবে না। আরও পড়ুন: প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ‘ফেডারেল অপরাধে’ অভিযুক্ত ট্রাম্প ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করার এ ঘটনা তাকে রাজনৈতিকভাবে সাহায্য করবে নাকি তার জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক তহবিল সংগ্রহের দিকে খেয়াল করলে দেখা যায়, এই অভিযোগ ট্রাম্পের ভিত্তিকে আরও সংহত করেছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনগত দিক থেকে ট্রাম্পের জন্য এই অভিযোগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কোনো বাধা তৈরি করবে না। লয়োলা ল স্কুলের পাবলিক সার্ভিস ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জেসিকা লেভিনসন বলেন, আইনগতভাবে বলতে গেলে সাবেক প্রেসিডেন্ট যদি রাষ্ট্রীয় অপরাধের জন্য অভিযুক্ত হন বা এমনকি দোষীও সাব্যস্ত হন, তারপরও প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে গেলে কিভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবেন, আর নির্বাচিত হলে কীভাবে কারাগার থেকে দেশ চালাবেন? ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য আগেই বলেছেন, আইনি জটিলতা থাকলেও ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে তিনি পিছু হটবেন না। সম্প্রতি তিনি বলেন, আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাওয়ার কথা ভাবছি না। আইনি জটিলতার সৃষ্টি করা হলে বরং আমার সমর্থক সংখ্যা আরও বাড়বে। আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সামনে যত চ্যালেঞ্জ এই মামলা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে কতটা প্রভাব পড়বে, তা এখনও পরিষ্কার না। তবে চলতি বছরের মার্চে নিউইয়র্কে আলাদা একটি মামলায় তিনি অভিযুক্ত হওয়ার পর তার ভোটার সংখ্যা বেড়েছে বলে জরিপে দেখা গেছে। এতে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি সামনে সারিতে চলে এসেছেন। নিউইয়র্কের মামলায় দেখা গেছে, তহবিল সংগ্রহ বাড়াতে ফৌজদারি মামলা বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটেছে। তার প্রচার শিবির জানিয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ প্রকাশ্যে চলে আসার পর ২৪ ঘণ্টায় ৪০ লাখ মার্কিন ডলার তহবিল উঠেছে। এর আগে মার-এ-লাগো রিসোর্টে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের অনুসন্ধানের পরে যে পরিমাণ তহবিল উঠেছিল, এবার সেই রেকর্ড ভেঙে গেছে। এই মামলা ও তদন্তকে নিজের তহবিল সংগ্রহের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন ট্রাম্প। তিনি সমর্থকদের বলছেন, ‘আমি আক্রান্ত হয়েছি। তারা যেন সহায়তায় এগিয়ে আসে।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply