চীনা সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য কঠোরভাবে প্রস্তুত হতে বললেন শি
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেশটির সেনাবাহিনীকে প্রকৃত যুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনতে কঠোরভাবে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড পরিদর্শনকালে তিনি এই আহ্বান জানান বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ছবি: এপি
শি জিনপিং বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্ব অস্থিরতা এবং পরিবর্তনের নতুন এক যুগে প্রবেশ করেছে এবং এ কারণে চীনের নিরাপত্তা পরিস্থিতিও আগের চেয়ে অনেক বেশি অস্থিতিশীল এবং অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’ এ সময় তিনি পিএলএকে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার অগ্রসেনানী বলে উল্লেখ করেন।
চীনের সেনাবাহিনী ইস্টার্ন কমান্ডের হেডকোয়ার্টার দেশটির জিয়াংশু প্রদেশে অবস্থিত। ইস্টার্ন কমান্ড চীনের পূর্বাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্বে নিয়োজিত। এই কমান্ডের অধীনেই রয়েছে পূর্ব চীন সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে নজিরবিহীনভাবে তৃতীয় মেয়াদে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, জাতীয় নিরাপত্তার রক্ষক হিসেবে চীনের সেনাবাহিনীকে প্রকৃত অর্থেই ‘ইস্পাতদৃঢ় মহাপ্রাচীর’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধানের চীন সফর বাতিল করল বেইজিং
এদিকে, পশ্চিমা আধিপত্য রুখতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাকে আরও সুসংহত করতে নতুন একটি আইন পাস করল শি জিনপিং প্রশাসন। এতে বেইজিংয়ের স্বার্থ বিরোধী যে কোনো উদ্যোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, গোটা পশ্চিমাদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই আগ্রাসী কূটনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে চীন। যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ কূটনৈতিক চাল হিসেবে পশ্চিমাবিরোধী নতুন আইন পাসের ঘটনা। বিদেশিদের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি আইনটি পাস করে।
এতে বলা হয়, চীনা স্বার্থ বিরোধী যেকোনো কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের টহল উসকানিমূলক: চীন
বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও হংকং ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেয়া চীন বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হবে আইনটি। চীনা নাগরিকদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ নিলে তাদের 'স্যাংশন লিস্টে' অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা প্রবেশ করতে পারবেন না চীনে। দেশটিতে থাকা তাদের সম্পদও জব্দ করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষমতাকে আরও সুসংহত করলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধাক্কার পাশাপাশি পশ্চিমা আধিপত্য বিরোধী গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে দেখা হচ্ছে এই আইনটিকে।
Tag: English News lid news world
No comments: