দাবানলে বিপর্যস্ত ভূমধ্যসাগর তীরের ৩ দেশ, মৃত্যু ৪০
দাবানলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী তিন দেশ আলজেরিয়া, ইতালি এবং গ্রিস। এতে এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শুধু আলজেরিয়াতেই মারা গেছেন ৩৪ জন।
গ্রিসে বনাঞ্চলে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন এক দমকলকর্মী। ছবি: রয়টার্স
স্মরণকালের ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ সিসিলি। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনে পুড়ে যাচ্ছে একরের পর একর বনাঞ্চল। এখনো সক্রিয় রয়েছে অন্তত সাড়ে ৬০০ দাবানল, যা নিয়ন্ত্রণে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে দমকলবাহিনী। ব্যবহার করা হচ্ছে হেলিকপ্টারও। তবে বাতাসের বেগ বেশি থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসছে না। পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে লোকালয়েও। এরইমধ্যে ঘটেছে হতাহতের ঘটনা। ভয়াবহ এ আগুনে কয়েকশ’ বছরের পুরনো একটি ঐতিহাসিক মন্দিরও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: ইউরোপ-আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে দাবানল, বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতি
ভয়াবহ দাবানলে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশ গ্রিসের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলেও, এখনো আগুনে পুড়ে চলেছে বনাঞ্চল। তাপপ্রবাহ ও বনাঞ্চলের গাছগুলো শুকিয়ে প্রায় কাঠে পরিণত হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না দমকলকর্মীরা। এ অবস্থায় রোডস আইল্যান্ড থেকে স্থানীয় ও পর্যটকসহ অন্তত ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
গ্রিসের দাবানাল কবলিত এলাকাগুলোতে তাপামাত্রা সর্বোচ্চ ৪৪ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর। এ অবস্থায় বুধবার ১৩টি অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গেল কয়েকদিনের দাবানলে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে আলজেরিয়ায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বেজাইয়ায় ৩০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী এই প্রদেশটি এর আগে কখনও এত ভয়াবহ দাবানল দেখেনি। আগুন নেভানো এবং দুর্গত এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনতে দেশটির সরকার দমকল বিভাগের কর্মীদের পাশাপাশি সেনা সদস্যদেরও নিয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে। তবে, পরিস্থিতির কোনো উন্নত হয়নি।
আরও পড়ুন: আমরা দাবানলের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত: গ্রিক প্রধানমন্ত্রী
এদিকে নতুন করে দাবানল দেখা দিয়েছে পর্তুগালের জনপ্রিয় দ্বীপ ক্যাসকেসের কাছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন ৬শ’র বেশি দমকলকর্মী। শুষ্ক আবহাওয়ার সঙ্গে তীব্র দাবদাহে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে স্পেনের গ্রান কানারিয়া দ্বীপেও।
No comments: