কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বহাল করল মিসর ও তুরস্ক

এক দশক পর কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বহাল করেছে তুরস্ক ও মিসর। দুটি দেশই একে অপরের রাজধানীতে নতুন করে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুই দেশের তরফ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মিসরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। ছবি: রয়টার্স তুরস্ক সালিহ মতলু শিনকে কায়রোয় নিজেদের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। বিপরীতে আমর আল-হামামিকে আঙ্কারায় নিজেদের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠিয়েছে মিসর। তুরস্ক ও মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই পদক্ষেপের লক্ষ্য আবারও দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করা এবং তুর্কিয়ে ও মিসরীয় উভয় দেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য কাজ করার জন্য তাদের পারস্পরিক দৃঢ়তা প্রদর্শন করা।’ আরও পড়ুন: সংকটে মিসর, শখ মেটাতে ৫০ কোটি ডলারের বিমান কিনলেন আল-সিসি ২০১৩ সালে মিসরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির উৎখাতের পর থেকেই তুরস্কের সঙ্গে মিসরের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। কারণ, মুরসি যে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা ছিলেন সেই দলটির অন্যতম সমর্থক ছিল তুরস্কের তৎকালীন সরকার। মুরসিকে উৎখাতের পর মিসরের সরকার মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। বিষয়টিকে খুব একটা ইতিবাচকভাবে নেয়নি তুরস্ক। তৎকালীন তুর্কিয়ে সরকার মিসরের সামরিক সরকারের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানায়। প্রতিক্রিয়ায় কায়রো অভিযোগ তুলে যে, আঙ্কারা মিসরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলাচ্ছে। এ অবস্থায় দুটি দেশই নিজ নিজ রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের তরফ থেকেই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেয়া। যার শুরু হয় ২০২১ সালে। দুই দেশের তরফ থেকেই কূটনৈতিকরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে থাকেন। পরে সর্বশেষ চলতি বছরের মে মাসে এক বৈঠকে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান আবারও দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালুর ব্যাপারে একমত হন।