ট্রুডো কী বলেছিলেন মোদীকে? আমেরিকায় বসে খোলসা করলেন নিজেই, কী বলল ভারত?
কানাডায় সে দেশের খলিস্তানি নেতাকে খুনের ঘটনায় ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। এর পরেই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
খলিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে হত্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হওয়া মুখোমুখি বৈঠকেও। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েনের আবহে আমেরিকার মাটি থেকে এমনটাই জানালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। নয়াদিল্লিতে জি২০ বৈঠকের ফাঁকে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে হওয়া এই বৈঠকে যে বিষয়টি উঠেছিল, তা অস্বীকার করেনি ভারত। তবে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রুডোর তোলা অভিযোগ ওই বৈঠকেই খারিজ করে দেন মোদী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য’ চাওয়া হয়েছে ভারতের তরফে।
বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরে কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধিদের তরফ থেকে ট্রুডো সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “যা আমি সোমবার বলেছিলাম, সেই অভিযোগই পুনরুচ্চারণ করছি। কানাডার মাটিতে কানাডার নাগরিককে হত্যায় ভারত সরকারের এজেন্টরা জড়িত, এমনটা মনে করার বিশ্বাসযোগ্য কারণ রয়েছে।” মোদীর সঙ্গে বৈঠকেও বিষয়টি উঠেছে, এমনটা জানিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার সঙ্গে (ভারতের) প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি এবং খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে আমি কোনও রকম শর্ত ছাড়াই আমার উদ্বেগের বিষয়গুলি জানিয়েছি।”
এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবারেই ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “হ্যাঁ, অভিযোগগুলি বৈঠকে তুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেগুলি খারিজ করে দেন।” অভিযোগের প্রেক্ষিতে কানাডা সরকার ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য’ দিলে বিষয়টি দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ, হাতানো হল তাঁর বন্ধুর মোবাইল ফোন
জুন মাসে খলিস্তানপন্থী সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’ (কেটিএফ)-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর ভূমিকা ছিল বলে কানাডার পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশনে সোমবার দাবি করেন ট্রুডো। নিজ্জর খুনের ঘটনায় দায় অস্বীকার করে ভারত। ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংহতির বিরোধী শক্তিকে কানাডা মদত দিচ্ছে বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অভিযোগ করা হয়। বুধবার সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়, ট্রুডো সরকারের মদতে অন্তত ২১ জন কট্টরপন্থী খলিস্তানি নেতা কানাডায় আশ্রয় পেয়েছেন। তাঁরা আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সে দেশের ভারতীয় হাই কমিশন-সহ বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রগুলিতে হাঙ্গামার ছক কষছেন বলেও ওই খবরে দাবি করা হয়েছে।
Tag: English News lid news others world
No comments: