যুদ্ধ বন্ধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা পুনরুদ্ধারে বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী

যুদ্ধ বন্ধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা পুনরুদ্ধারে বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব আজ বুধবার জিজ

িএফ কনফারেন্স হলে ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম’ সম্মেলনের উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেন। বাসসে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে নেওয়া ছবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের প্রতি শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিতের জন্য যুদ্ধ বন্ধ এবং দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মানব সংযোগ শান্তি ও অগ্রগতির লাইফলাইন। আমাদের অবশ্যই যুদ্ধ, সংঘাত ও অস্ত্র প্রতিযোগিতার অবসান ঘটাতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর) জিজিএফ কনফারেন্স হলে ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম’ সম্মেলনের উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের ভাষণে এসব কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশের মসৃণ এলডিসি উত্তরণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অব্যাহত বাণিজ্য অগ্রাধিকারও চেয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) বাংলাদেশের জন্য একটি বিশ্বস্ত বাণিজ্য, উন্নয়ন ও মানবিক অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের মসৃণ এলডিসি উত্তরণে ইইউর অব্যাহত বাণিজ্য অগ্রাধিকার চাই।’ প্রধানমন্ত্রী ইইউভুক্ত দেশগুলোকে বাংলাদেশে বিশেষ করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং দেশজুড়ে হাই-টেক পার্ক নির্মাণে বৃহত্তর বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় বিনিয়োগের অন্যতম আকর্ষণীয় পরিবেশ প্রদান করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ইইউ বিনিয়োগকারীদের আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কের সুবিধাগুলো অন্বেষণের আমন্ত্রণ জানায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘তার দেশের শালীন কাজ ও সার্কুলার অর্থনীতিতে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতের সংকট মোকাবেলায় আরও ভাল প্রস্তুতি এবং পারস্পরিক সম্মান পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যতের সংকটের জন্য আরও ভালভাবে প্রস্তুত হতে হবে। আমাদের অবশ্যই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বিভিন্ন দেশের মধ্যে বোঝাপড়ার প্রতি বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম ২০২৩-এর সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য এটি এক মহান সংযোগ হিসেবে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।