Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » গাজা যুদ্ধের তথ্য সঠিকভাবে তুলে ধরছে না বিবিসি




ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বরাবরই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে পশ্চিমা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে। এবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠেছে। আর অভিযোগ করেছে খোদ সংবাদমাধ্যমটিতে কর্মরত সাংবাদিকরাই। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিতর্কে জর্জরিত বিবিসি। সংগৃহীত এক চিঠিতে তারা বলছেন, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের খবর সঠিকভাবে তুলে ধরছে না বিবিসি। তারা আরও বলছেন, ফিলিস্তিনিদের চেয়ে ইসরাইলিদের ভিক্টিম হিসেবে তুলে ধরে বেশি বেশি সময় ও শ্রম ব্যয় করছে সংবাদমাধ্যমটি। এমনকি সংবাদ প্রচারে সংঘাতের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক প্রেক্ষিত ও তথ্য-উপাত্ত বাদ দিচ্ছে। বছরের পর বছর নির্যাতন ও নিপীড়নের জবাবে গত মাসে ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে কয়েকজন বিদেশি নাগরিকসহ ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এছাড়া আরও দুই শতাধিক নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। এরপরই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। এক সপ্তাহ পর শুরু করে স্থল অভিযান। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সেই শুরু থেকেই প্রতিদিন হাজার হাজার টন বোমা ফেলছে ইসরাইলি বাহিনী। আরও পড়ুন: শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদরাসা কিংবা হাসপাতাল - কোনো বাছবিচার নেই। আন্তর্জাতিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হত্যা করছে নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের। যেখানে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৪ হাজার। কিন্তু বরাবরের মতোই নতুন সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই ইসরাইলের পক্ষে এবং হামাসবিরোধী অবস্থান নিয়েছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমা বিশ্বের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের মতো তাদের গণমাধ্যমগুলোও ইসরাইলের অন্যায় কাজে অবিরাম সমর্থন দিচ্ছে। ন্যূনতম জবাবদিহিতার জায়গাও রাখছে না গণমাধ্যমগুলো। সংঘাত নিয়ে তারা কেবল ইসরাইলের বয়ানই তুলে ধরছে। সেসব প্রতিবেদনে ফিলিস্তিন ও ফিলিস্তিনিদের কোনো কথা নেই। এটি মানবিক ও বিবেকবান মানুষকে হতবাক করেছে। এসব নিয়ে সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ৩১৩ শিক্ষাবিদ পশ্চিমা গণমাধ্যমের উদ্দেশে একটি খোলাচিঠিও লিখেছেন। একইভাবে বিবিসির পক্ষপাতিত্ব নিয়ে আলজাজিরায় ২ হাজার ৩০০ শব্দের একটি চিঠি লিখেছেন সংবাদমাধ্যমটিতে কর্মরত ৮ সাংবাদিক। তবে চাকরিচ্যুতির ভয়ে ওই সাংবাদিকরা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, তাদের বিবিসি নির্বাহীদের কাছে চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা নেই। কারণ তাতে কোনো লাভ হবে না বলে মনে করেন তারা। আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির পর হামলা আরও তীব্র হবে: ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিঠিতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওই সাংবাদিক দল বিবিসিকে বেসামরিক নাগরিকদের সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে ‘দ্বিচারিতা’র মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। তারা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে একরকম আর ফিলিস্তিন সংঘাতের বেলায় আরেকরকমভাবে খবর প্রচার করছে সংবাদমাধ্যমটি। গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার বিমান হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিশ্বের মানবিক ও বিবেকবান মানুষ। ক্রমবর্ধমান ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনায় ক্ষোভের পাশাপাশি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে আসছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। কিন্তু এ যুদ্ধ অপ্রত্যাশিতভাবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দুভাগ করে ফেলেছে। যুদ্ধরত ইসরাইল ও হামাসকে কে কীভাবে উপস্থাপন করছে, তা নিয়ে রয়েছে মতানৈক্য। তবে কমবেশি উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিশেষ করে পশ্চিমা গণমাধ্যমকে ফিলিস্তিনিদের চেয়ে ইসরাইলের প্রতি ব্যাপক মাত্রায় সহানুভূতিশীল দেখা যায়। এটা অনেকেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে; করেছে হতবাকও। বিষয়টি চিঠিতেও উল্লেখ করেছেন বিবিসির সাংবাদিকরা। তারা বলেছেন, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতের খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রায়ই ‘ম্যাসাকার’ ও ‘অ্যাট্রোসিটি’ (হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংসতা) শব্দ দুটি ব্যবহার করেছে সংবাদমাধ্যমটি। তবে শব্দ দুটি শুধুমাত্র হামাসের জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে এবং গোষ্ঠীটিকে একমাত্র সহিংসতা সৃষ্টিকারী হিসেবে দেখানো হয়েছে। এটা বেঠিক; কিন্তু এটা বিবিসির সব সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রেই এমনটা দেখা গেছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply