Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » যুদ্ধবিরতি ইসরাইল-হামাস সংঘাতে কাতারের ভূমিকা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ




যুদ্ধবিরতি ইসরাইল-হামাস সংঘাতে কাতারের ভূমিকা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ

গাজা-ইসরাইল সংঘাতে যখন পশ্চিমা বিশ্ব তেল আবিবকে সমর্থন দিয়ে আরও আগ্রাসন চালানোর উসকানি দিচ্ছিল, ঠিক তখনই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের মধ্যস্থতায় কার্যকর হলো যুদ্ধবিরতি। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে ফিলিস্তিনকে সমর্থনকারী অন্য দেশগুলোর কার, কী ভূমিকা ছিল? কেনই বা ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে বারবার মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা যায় কাতারকে? মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের মধ্যস্থতায় কার্যকর হয়েছে ইসরাইল-হামাস চার দিনের যুদ্ধবিরতি। ছবি: সংগৃহীত গেল অক্টোবরে ইসরাইল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পরই কার্যত দু’পক্ষে ভাগ হয়ে যায় বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলো ঢালাওভাবে সমর্থন দিচ্ছে ইসরাইলকে। আর ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের পাশে ইরান, কাতার, সৌদি আরব, তুরস্ক, রাশিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশ। অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি নৃশংসতা যখন চরমে পৌঁছায়, তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধে কী ভূমিকা রাখছে? উঠে আসে আলোচনায়। অবশেষে টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে সংঘাতের পর ইসরাইল-গাজা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলো শুক্রবার (২৪ নভেম্বর)। চার দিনের যুদ্ধবিরতিতেও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিল কাতার। সাময়িক এই চুক্তি দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তিতে রূপ নেবে বলে আশা দেশটির। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক আলোচনা ও দর-কষাকষির পর অবশেষে এই চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। এখন তাদের নজর বিবাদমান দুই পক্ষের চুক্তির শর্ত মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করা। আরও পড়ুন: গাজায় অবশেষে শুরু ৪ দিনের যুদ্ধবিরতি এর আগে, হামাসের কর্মকর্তারা ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর আগে কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে তাদের জবাব পাঠায়। এছাড়া চুক্তির বিষয়ে আলোচনার পর চুক্তিটিকে সমর্থন করে ইসরাইলি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। পরে দিনব্যাপী আলোচনায় মিশর, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শক্তিগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে কাতার। ইসরাইল ও হামাসের যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে তাদের অগ্রগতিতে ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চুক্তির বিষয়টিকে ‘সুসংবাদ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে রাশিয়া। স্বাগত জানিয়েছে চীন, সৌদি আরবসহ অনেক দেশই। এর আগে আরব লিগের বৈঠক, জর্ডানের শান্তি সম্মেলনসহ বিভিন্ন দেশ যুদ্ধবিরতির কথা বললেও, তা কার্যকরে কোনো কিছুই কাজে আসেনি। কাতারের এমন ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে, কেন বারবার মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সংঘাতের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা যায় কাতারকে। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে অনেক সময়ই শান্তি স্থাপনে ভূমিকা রাখতে দেখা যায় দেশটিকে। আরও পড়ুন: গাজায় কতদিন যুদ্ধ চলবে, জানাল ইসরাইল বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ ভূমিকার কারণে কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতার সুপরিচিত। দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বহু বিরোধে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে দেশটি। গাজা-ইসরাইল ছাড়াও লেবানন, ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া, লিবিয়া, সুদানসহ বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ ও দ্বিপক্ষীয় বিরোধ সমাধানে এই ভূমিকা পালন করে আসছে কাতার। কাতার অত্যন্ত দক্ষতা ও কৌশলের সঙ্গে কোনো সমস্যা বা সংঘাত সমাধানে পটু বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply