Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী




আওয়ামী লীগ সরকার ফের সরকার গঠন করতে পারলে মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সময় সংবাদ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এক বক্তব্যে বলেছে যে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ১৮ জনের ১০০ কোটি টাকার বেশি আছে। এ ছাড়াও ৭৭ শতাংশ কোটিপতি রয়েছেন। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, গবেষণা করে তারা পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে বলেছিল। তাদের অনেক বড়গলা ছিল। তারা প্রচুর সংবাদ সম্মেলন করেছে। পরে দেখা গেল, পদ্মা সেতুতে তো দুর্নীতি হয়-ই-নি, দুর্নীতির কোনো সুযোগও সৃষ্টি হয়নি। নানা সময়ের নানা গবেষণায় দেখা যায়, সেগুলো আসলে গবেষণা নয়, কতগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সেই প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রকাশ করা হয়। আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৭৭ শতাংশ কোটিপতির কথা বলা হয়েছে, দেশে এক কাঠা জমির দাম গ্রামেও ২০ লাখ টাকা। পাঁচ কাঠা জমির দাম ১ কোটি টাকা। ঢাকা শহরে এক কোটি টাকার নিচে কোথাও জমি নেই, চট্টগ্রামেও নেই। কারও তিন কাঠা জমি থাকলেই তো সে কোটিপতি। এখন সবাই কোটিপতি। কাজেই এই হিসাব দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নেই। এ হিসাব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আরও পড়ুন: সবাই ভোট প্রত্যাখ্যান করলে বিভিন্ন দেশ পর্যবেক্ষক পাঠাত না: হাছান মাহমুদ যে সরকার ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলা যায়। তারা নতুন সরকারে এলে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে কি না, জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার পরিচালনার সময় দ্রব্যমূল্য সবসময় মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। কোনো কোনো সময় কোনো কোনো পণ্যের মূল্য বেড়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে। আজ থেকে ১৫ বছর আগে একজন দিনমজুর সারা দিন পরিশ্রম করে যে টাকা পেতেন, সেই টাকা দিয়ে চার-পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারতেন। এখন একজন দিনমজুর সারা দিন কাজ করে যে চাল কিনতে পারেন, সেটা ১২ থেকে ১৫ কেজি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেটা আরও বেশি। চট্টগ্রামে এক হাজার টাকার নিচে দিনমজুর পাওয়া যায় না। পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য সবসময় বেড়েছে। তথ্যন্ত্রী বলেন, ‘তেতাল্লিশে কলকাতা, বাংলায় যখন দুর্ভিক্ষ হয়, তখন ছয় টাকায় চল্লিশ কেজি চাল পাওয়া যেত। কিন্তু সেই চাল কিনতে না পেরে মানুষ মারা গেছে। তখন তো দ্রব্যমূল্য অনেক কম ছিল। খেয়াল রাখতে হবে, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে কি না। আমাদের দেশে যত-না মূল্য বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে।’ এ কথা সত্য, মাঝে মাঝে ব্যবসায়িক চক্র, মুনাফালোভী সিন্ডিকেট কোনো কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সেই পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। এভাবে তারা ফায়দা লোটে। ভারতের একটি পত্রিকায় পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের খবর যখন ঢাকার অনলাইনেও প্রকাশিত হয়, তখন কারওয়ানবাজারে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কোনো কারণ নেই? মন্ত্রী বলেন, ‘এটা হলো মুনাফালোভীদের কারসাজি। আমরা সেটি নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছি। আবার সরকার গঠন করতে পারলে এই মুনাফালোভী চক্র, অসাধু চক্র, যারা দেশে মাঝেমধ্যে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মুনাফালাভের চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেটা আমরা করতে পারব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করছি।’ আরও পড়ুন: রাজনীতির নামে সন্ত্রাসবাদ চিরতরে বন্ধ করতে হবে: হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় এলে আমদানিনির্ভর পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে জোর দেয়া হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কিছু ভোগ্যপণ্য আছে, যেগুলো আমদানি নির্ভর। আমরা এগুলোর উৎপাদন বাড়াতে চাই। একই সঙ্গে এগুলোর সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত করতে চাই। দেখা যায়, কিছু ভোগ্যপণ্য উৎপাদনের সময় কম দাম থাকে, আবার বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না, সেটা আমরা বাড়াতে চাই। এখন যেমন নানা মৌসুমে সব ধরনের শাকসবজি উৎপাদন হয়।’ আমরা ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই, পাশাপাশি মধ্যস্বত্বভোগী, যাদের কারণে পণ্যমূল্য বাড়ে, তাদের সিন্ডিক্রেট ভেঙে দিতেই আমরা কাজ করছি। ভবিষ্যতে সরকার গঠন করলে সেটা করতে পারব।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply