যুদ্ধে যেতে আপত্তি, ইসরাইলি তরুণের কারাদণ্ড

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইসরাইলি এক তরুণ। এই অপরাধে তাকে ৩০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলের হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মিৎনিকই এ কারণে গ্রেফতার হওয়া প্রথম ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই তরুণের নাম তাল মিৎনিক। প্রতিবেদনে মতে, রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে আপত্তি জানিয়েছিলেন তাল মিৎনিক। এ কারণে তার সাজা হয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ১৮ বছর বয়সী তাল মিৎনিক। এ কারণে তাকে এক মাসের সাজা দেয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: ইসরাইলের বিমান হামলায় ১১ ইরানি সেনা নিহত গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলের হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মিৎনিকই এ কারণে গ্রেফতার হওয়া প্রথম ব্যক্তি। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক ভিডিও পোস্টে মিৎনিক বলেন, সহিংসতার জবাব সহিংসত দিয়ে দেয়া যায় না। আমি বিশ্বাস করি না যে, হামাসের নৃশংসতার সমাধান গাজায় হামলা চালিয়ে করা সম্ভব। নৃশংসতার সমাধান কখনোই নৃশংসতা হতে পারে না। এ কারণে আমি যুদ্ধে যেতে আপত্তি জানিয়েছি। মিৎনিক গাজায় হামলার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ইসরাইলি সেনাবাহিনী শুধু হামাসের বিরুদ্ধে নয়, পুরো ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই প্রতিশোধ নিচ্ছে। আরও পড়ুন: মোসাদের আরও ৪ গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর মিৎনিকের ভিডিওটি এক্সে পোস্ট করেছে মেসারভট নামের একটি সংগঠন। এটি সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগ দেয়ার বিরোধিতা করে। টাইমস অব ইসরাইয়েল জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে কয়েক বছর বাধ্যতামূলকভাবে সেবা দিতে হয় প্রতিটি ইসরাইলি নাগরিককে। কেউ যদি এই সেবা দিকে আপত্তি জানায়, তবে তাকে কারাদণ্ড দেয়া বিধান রয়েছে। তবে কেউ যদি স্বাস্থ্য বা মানসিক সমস্যার যথাযথ কারণ দেখাতে পারেন, তবে তার জন্য যোগ দেয়া বাধ্যতামূলক নয়।