Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » মেহেরপুরে সফল জননী নির্বাচিত।




মেহেরপুরে সফল জননী নির্বাচিত হয়েছেন গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের মৃত কোবাদ আলীর স্ত্রী মোছাঃ নহরজান খাতুন। সারা দেশের ন্যায় ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থার উদ্যোগে ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রোকেয়া দিবস পালন ও সফল জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। মেহেরপুর স্হানীয় সরকারের উপ পরিচালক শামীম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জনাব শামীম হাসান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নিলা হাফিয়া, জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার সভানেত্রী শামীম আরা হীরা, বিভিন্ন সরকারী অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সুধীজন সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীগণ। জয়িতা অকন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় রাষ্ট্রীয় ভাবে এ বছর মেহেরপুর জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ৫ জন জয়িতাকে সংবর্ধনা, ক্রেষ্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মেহেরপুর জেলায় সফল জননী নির্বাচিত হয়েছেন গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের্ মোছাঃ নহরজান খাতুন, অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী মেহেরপুর শহরের মল্লিক পাড়ার সুবেহ সুলতানা, সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় মেহেরপুর সহরের নতুন পাড়ার মোছাঃ শারমিনা পারভীন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালি গ্রামের মোছাঃ শিরিনা খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছে যে নারী মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের মোছাঃ আনোয়ারা বেগম। ১৯৯৬ সালে সফল জননী নহরজান খাতুনের স্বামী কোবাদ আলীর মৃত্যুর পর ৭ পুত্র ও ৩ কন্যাকে অত্যাধিক বিচক্ষণতা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে সমাজে সু - নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ ছাড়াও তিনি বৃদ্ধ শ্বশুর শাশুড়িকে নীজ পিতা মাতার ন্যায় দেখভাল করেছেন।২০১৫ সালে তিনি পবিত্র মক্কা শরীফে হজ্জ পালন করেছেন। সন্তানদের মধ্যে বড় সন্তান আনিসুর রহমান কুষ্টিয়া জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত, কন্যাদের মধ্যে বড় নাসিমা খাতুন গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, পুত্র আইনুল হক বাংলাদেশ টেলিভিশন সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা হিসেবে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। বর্তমানে সুইডেনে নাগরিকত্ব অর্জন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। আলমগীর হোসেন ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকায় সিনিয়র স্টাফরিপটার হিসেবে কর্মরত। ছোট পুত্র ইন্জিনিয়র জিল্লুর রহমান বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। সর্ব কনিষ্ঠ কন্যা তাসলিমা আক্তার ৪১ তম বিসিএস ননক্যাডারে কর্মকর্তা হিসেবে চলতি বছরে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য সন্তানেরা সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা পদে কর্মরত রয়েছেন। সন্তানেরা কর্ম ক্ষেত্রে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে। বর্তমান এ পরিবারটি ধুমপান মুক্ত পরিবার এবং সেই সাথে সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় কোন কার্যকলাপের সাথে কেউ জড়িতও হয়নি। নহরজানের সফল মাতৃত্বের ছায়াতলে এই পরিবারটি এলাকার মধ্যে একটি আদর্শ পরিবার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply