যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইয়েমেনে বিমান হামলা, নিহত ৫

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। হুতি বিদ্রোহীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হুতিদের লোহিত সাগর বন্দরের শক্ত ঘাঁটি হুদায়দাতেও হামলা করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত প্রতিবেদন মতে, শুক্রবার ভোরে ইয়েমেনের কয়েকটি শহরে হামলা হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে হুতি বিদ্রোহীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে হুতি কর্মকর্তা আবদুল কাদের আল-মোরতাদা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইয়েমেনজুড়ে হামলা চালানো হয়েছে। রাজধানী সানা, হুদায়দাহ গভর্নরেট, সাদা ও ধামারে বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে। হুতিদের লোহিত সাগর বন্দরের শক্ত ঘাঁটি হুদায়দাতে হামলা করা হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনে হুতিদের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আল-ইজি বলেন, এই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে চরম মূল্য দিতে হবে। ইয়েমেনের টিভি চ্যানেল আল-মাসিরাহ তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে এই ‘নির্লজ্জ আগ্রাসনের’ জন্য ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে। আরও পড়ুন: ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিমান হামলা, কড়া হুঁশিয়ারি হুতিদের বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, হুতিদের ব্যবহৃত সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দুই দেশের সেনারা। হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। যেগুলো যুদ্ধজাহাজ থেকে ছোড়া হয়েছে। এছাড়া হামলায় যুদ্ধবিমানও ব্যবহার করা হয়েছে। এদিকে হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় চলাচলকারী জাহাজের ওপর হুতিদের হামলার জবাবে এসব হামলা চালানো হয়েছে। অন্যদিকে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিমান হামলার ঘটনায় সংঘাত এড়ানোর পাশাপাশি সংযমের আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা গভীর উদ্বেগ নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সম্প্রতি কয়েক মাসে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে রিয়াদ সরকার। গুরুত্বপূর্ণ লোহিত সাগরসহ আশপাশের অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সৌদি আরব গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কারণ, গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথে অবাধ বাণিজ্যের স্বাধীনতা একটি বৈশ্বিক দাবি। আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদে হুতি হামলা বন্ধের প্রস্তাব পাস গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের নৃশংস হামলা শুরুর পর থেকে লোহিত সাগর দিয়ে ইসরাইলগামী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে হুতি বিদ্রোহীরা। সেসব হামলার জবাবে এবার যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সরাসরি হামলা চালাল। এর আগে গত মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাতে লোহিত সাগরের বাণিজিক জাহাজে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা। ওই হামলায় অন্তত ৫০টি বাণিজ্যিক জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।