জীবনের সমস্ত বেলা বোধ চিন্তার চর্চা করে গেছেন মেহেরপুরের সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মরহুম নাসির উদ্দিন মীরু

পরিকল্পিত জীবনের নিজস্বতা ছড়িয়ে মানবিকতার চর্চা করে, এবং নিজেকে ধন্য করে সামাজিক মানুষ ছিলেন নাসির উদ্দিন মীরু তাঁর বিনয়ী ভাবনা ও বাস্তব চিন্তার সূর্য আলোতে মানুষের মধ্যে মানুষত্ব জাগত, ধর্মের কিছু গোঁড়ামির বিরুদ্ধে যৌক্তিক যুক্তিতে নিজেকে প্রকাশ করতেন কর্ম জীবনে। প্রজন্মদের সামাজিক জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে তিনি কাজ করতেন বলেই, অন্তর জুড়ে তাঁর স্বপ্ন ছিল আকাশ সম। নাসির উদ্দিন মীরু দায়িত্বশীলতাকে সম্মান করে মানুষের অন্তর মুখে চিন্তা চেতনার ফেরি করতেন সম্মানের প্রতিটি জায়গা জুড়ে। তাঁর কাছে গ্রন্থ এবং লেখাপড়া, লেখাপড়া এবং গ্রন্থ ছিল বেঁচে থাকার একমাত্র উদ্দেশ্য, তাই তিনি সময় প্রবাহে শব্দ খোঁজে চলতেন শুধু বিবেচক মানুষ হওয়ার জন্য। তিনি সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের ছিলেন দায়িত্বশীলদের একজন, "মানুষ মানুষের জন্য" এই নীতি আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে গেছেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। পড়ার মাঝেই গড়া এই মানসিকতার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে তিনি শুধুই পড়েছেন এবং পড়িয়েছে। লাইব্রেরী লাইব্রেরিয়ান এ সমস্ত গল্পগুলো তাঁর জীবনের এক একটা অংশ। তাই তিনি প্রতিটা কাজের মাধ্যমে যোগ্যতা ছড়িয়ে গেছেন প্রতিটি সময়। মরহুম নাসির উদ্দিন মীরু র সংসার জীবনে দুইটা ছেলে মেয়ে, ছেলে অনুপম রঙকু কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী, এবং মেয়ে নন্দিতা উর্মি লেখক হিসাবে তাঁর পরিচিত রয়েছে। ১১ নভেম্বর নদীয়া জেলার করিমপুর থানার ফাজিল পুর পশ্চিমবঙ্গে তাঁর জন্ম হয়, মৃত্যু ২৪ শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ তাঁর গ্রামের বাড়ি ছিল বেদবাড়িয়া উপজেলা গাংনী।