Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মেহেরপুরে বিনা চাষে সরিষা বাম্পার ফলন হবে আশা কৃষকদের




মেহেরপুরে বিনা চাষে সরিষা আবাদে সফল জেলায় বিনা চাষে সরিষার আবাদ বাড়ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা ধানী জমিতে ধান কাটার ৮-১০দিন আগেই সরিষার বীজ বপন করে। ধান কর্তন করে সার এবং সেচ দিয়ে সরিষার চাষ করছে মেহেরপুরের কৃষকরা। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয় কোন জমি পতিত না রেখে বিনা চাষে সরিষার আবাদ করার জন্য। কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। মেহেরপুরের বিস্তীর্ণ মাঠ যেন সবুজের মাঝে হলুদ ফুলের সমারোহ। হলুদ সবুজে মোড়ানো সরিষা ফুলে ছেয়ে আছে মেহেরপুরের মাঠ। কোন কোন জমিতে সরিষায় পাক ধরেছে। আগাম যে দু‘একজন কৃষক সরিষার চাষ করেন তারা জমি থেকে সরিষা সংগ্রহ করছেন। সরিষার হলুদ রঙের ফুলে প্রকৃতি হয়ে উঠেছে আপন মহিমায় মোহবিষ্ট। মৌমাছির মৌ-মৌ গন্ধে সরব হয়ে উঠেছে মাঠের সরিষা ক্ষেত। মেহেরপুরের মাঠে বিস্তৃর্ণ সরিষা ক্ষেত বলে দিচ্ছে বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে সরিষার

। কৃষকের চোখে আনন্দের ঝিলিক। চলতি বছরে মেহেরপুরে সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছে জেলা কৃষি সম্পাসারণ অধিদপ্তর। সরিষার তেলের রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ। আর সরিষার খৈল জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করে। এবং সরিষার গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া জমিতে সরিষার আবাদ করলে ওই জমিতে সরিষার পাতা পড়ে জমির খাদ্য চাহিদা অনেকাংশে মিটিয়ে থাকে। সময় এবং খরচ কম হওয়ায় জেলায় সরিষার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরেজমিনে বিভিন্ন গ্রামের মাঠ ঘুরে ও সরিষা চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে- চলতি মৌসুমে প্রতি বিঘা জমি থেকে ৭-৮ মণ সরিষা উৎপাদন হবে। লাভজনক এবং সরিষা চাষের অনুকূল পরিবেশের কারণে এবার চলতি রবি মৌসুমে মেহেরপুরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১’শ ৭২ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ বেশী হয়েছে। চলতি রবি শস্য মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সরিষাক্ষেতে রোগবালাই কম হওয়ায় অধিক ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেব মতে চলতি বছরে সরিষার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ৯৭৩ হেক্টর জমিতে। কিন্তু চলতি মৌসুমে জেলায় এবার ৭ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১’শ ৭২ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার বেশি জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। সদর উপজেলার শোলমারি গ্রামের সরিষাচাষী নিয়ামত আলী জানান- জমি চাষে খরচ না হওয়াতে বিঘাপ্রতি সরিষা চাষে খরচ হচ্ছে সর্বচ্চ তিন হাজার টাকা। প্রতিমণ সরিষা বিক্রি করা যাবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রতি বিঘাতে সাতমণসরিষা উৎপাদন হলে বিঘা প্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা লাভ করা যায়। এছাড়া সরিষা আবাদে তেমন সেচের প্রয়োজন হয়না। তাছাড়া মাত্র তিনমাস সময়ে সরিষা আবাদ করা যায়। সরিষার বড় শত্রু জাব পোকা। এবার জাব পোকার আক্রমাণ না থাকায় সরিষার ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন তিনি। গাংনী উপজেলার রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের সরিষা চাষী আবুল বাশার বলেন- নিজের প্রয়োজন মেটাতে প্রতি বছর ১ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করি। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার ২ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। আশা করছি অন্য বছরের তুলনায় এবার সরিষার ফলন ভালো হবে। মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন- দেশি সরিষার চেয়ে বিনাচাষে বারি উদ্ভাবিত সরিষার জাতে ফলন বেশি। অনেক কৃষক আমন ধান সংগ্রহের আগেই ধানি জমিতে সরিষার বীজ বপন করছে কৃষকরা। এর প্রধান কারণ হচ্ছে বাজারে সরিষা এবং ভোজ্য তেলের চাহিদা বেশী। আমন ধান কাটার পর দুইমাস সময় জমি পড়ে থাকে। এই সময় বিনাচাষে ওই সময় শরীষা চাষ করলে তেলের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরেও রপ্তানী করা সম্ভব হবে। এমন প্রাকৃতিক পরিবেশ পেলে মানুষ আবার সরিষা আবাদে ফিরে আসবে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলেও তিনি আশাবাদী






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply