Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » জোরালো হচ্ছে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি, নিজ অবস্থানে অনড় নেতানিয়াহু




জোরালো হচ্ছে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি, নিজ অবস্থানে অনড় নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে জাতিসংঘ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্টার দাবি জানালেও বারবার তা প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছেন ইসরাইলের যুদ্ধবাজ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর বদলে তিনি বলছেন, অধিকৃত পুরো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন তার দেশের। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চান না ইসরাইলের যুদ্ধবাজ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে ‘দ্বিরা

ষ্ট্র সমাধান’ একটি পুরনো ধারণা। এর অর্থ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। এর মধ্যে একটি হলো এরই মধ্যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করে গড়ে ওঠা ইসরাইলি রাষ্ট্র। অপরটি অবশিষ্ট এলাকায় স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। অর্থাৎ ইহুদি জনগণের জন্য ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ফিলিস্তিন। গাজা সংঘাতের প্রেক্ষিতে ‘দ্বিরাষ্ট্র সমাধান’ নিয়ে নতুন করে আলোচনা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরাইলের অনেক মিত্র দেশই বিষয়টি নিয়ে কথা বলছে। তারা বলছে, ইসরাইলের পাশাপাশি পৃথক ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। গত সপ্তাহে উগান্ডায় জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জোর দাবি জানিয়ে বলেন, ‘ফিলিস্তিনকে অবশ্যই রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। তা নাহলে ফিলিস্তিন ও ইসরাইল সঙ্কটের কোনো সমাধান হবে না। দীর্ঘস্থায়ী হবে চলমান যুদ্ধ।’ দ্বীরাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। আরও পড়ুন: চুক্তি ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি অসম্ভব: ইসরাইলি কমান্ডার কিন্তু গোঁ ধরে আছেন নেতানিয়াহু। গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাত শেষে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তিনি কোনো সমর্থন দেবেন না। এ কথা তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছেন। একই সঙ্গে গাজায় ‘পূর্ণাঙ্গ বিজয় অর্জন’ না হওয়া পর্যন্ত সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। এরপর সবশেষ শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে এক্স-এ এক পোস্টে নেতানিয়াহু বলেছেন, আমি জর্ডানের পশ্চিমে পুরো অঞ্চলের ওপর ইসরাইলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কোনো আপস করব না। এর একদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন তিনি। যিনি (বাইডেন) গাজা যুদ্ধে ইসরাইলকে নিঃশর্ত সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন। গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বাইডেন জানান, তিনি নেতানিয়াহুর সাথে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্য সমাধান সম্পর্কে কথা বলেছেন। হোয়াইট হাউস জানায়, প্রায় এক মাসের মধ্যে এটা নেতানিয়াহুর সাথে বাইডেনের প্রথম ফোনালাপ। এছাড়া নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকাকালীন ‘দ্বিরাষ্ট্র সমাধান ‘অসম্ভব’ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘না, তা নয়।’ আরও পড়ুন: ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা এর মানে বাইডেন বলছেন, নেতানিয়াহুর অধীনেই দ্বীরাষ্ট্র সমাধান সম্ভব। সেক্ষেত্রে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কেমন হবে সে ব্যাপারেও কথা বলেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্নভাবে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান হতে পারে। জাতিসংঘে এমন বেশ কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে যাদের নিজস্ব সেনাবাহিনী নেই।’ যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য সবসময়ই বলেছে এবং এখনও বলছে, তারা ইসরাইলের পাশপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাস করে। তবে হোয়াইট হাউজ এটাও বলেছে, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সরকারের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। সেই পার্থক্য কতটা তা নেতানিয়াহুর বক্তব্যেই পরিষ্কার। বরাবরের মতো গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নেতানিয়াহু বলেন, গাজায় ইসরাইলের চূড়ান্ত লক্ষ্য হামাসকে ধ্বংস করা এবং তাদের হাতে বন্দি সকল জিম্মিকে উদ্ধার করা। এসব লক্ষ্য অর্জনে গাজায় ‘আরও অনেক মাস’ অভিযান চলতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আরও পড়ুন: সিরিয়ায় ফের ইসরাইলের বিমান হামলা, বড় ক্ষতি ইরানের এরপর গত শনিবার (২০ জানুয়ারি) এক্স-এ নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইসরাইল অবশ্যই জর্ডানের পশ্চিমের পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখবে।’ জর্ডানের পশ্চিমের পুরো অঞ্চল মানে জর্ডার নদী থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত পুরো ফিলিস্তিন ভূখণ্ডই। নেতানিয়াহুর এ গোয়ার্তুমির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাতিসংঘ। রোববার (২১ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্য বলেছে, ফিলিস্তিনি সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহুর বিরোধিতা ‘হতাশাজনক’। স্কাই নিউজ চ্যানেলে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বলেন, আমি মনে করি, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর মুখে এমন কথা শোনা আসলেই হতাশাজনক। এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকার অস্বীকার অগ্রহণযোগ্য।’ এক্স-এ এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্র গড়ার অধিকার অবশ্যই স্বীকৃতি দিতে হবে। আরও পড়ুন: গাজায় প্রতি ঘণ্টায় দু’জন মা মারা যাচ্ছেন: জাতিসংঘ গত বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহুর বক্তব্যের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরাইলের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের এবং গাজা পুনর্গঠনের মতো স্বল্পমেয়াদি চ্যালেঞ্জ সমাধানেরও অন্য কোনো উপায় নেই। মিলার আরও বলেন, ইসরাইলের কাছে এখন একটা সুযোগ রয়েছে। কারণ এই অঞ্চলের (মধ্যপ্রাচ্যের) দেশগুলো এখনও তাকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে প্রস্তুত আছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply