Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » লবণ পানি ঢোকার পথে বাঁধ, অনাবাদি জমি এখন ফসলে ভরপুর




বাগেরহাট সদর উপজেলায় লবণ পানির কারণে একসময় চাষাবাদ হতো না। কোনো ফসলই ঘরে তুলতে পারতেন না চাষিরা। তবে এখন দিন বদলেছে। ধানসহ সব ধরণের সবজির আবাদে সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে এই উপজেলা। একে নীরব বিপ্লব বলছেন অনেকে। লবন পানির কারণে চাষাবাদ না হওয়া জমিতে এখন ধান আর সবজির চাষ হচ্ছে পুরোদমে। ছবি: সময় সংবাদ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের শসীখালী বিলে লবণ পানির কারণে প্রায় ৭ হাজার একর জমি অনাবাদি থাকত। বছরের কিছু সময় বাগদা চিংড়ি চাষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হতো জমির মালিকদের। কিন্তু জমির মালিক, চাষী, জনপ্রতিনিধি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এই এলাকায় লবণ পানি প্রবেশ বন্ধ করার সম্মিলিত উদ্যোগ নেয়। এতে সফলও হয়েছেন তারা। এরই মধ্যে ধানসহ সবজি চাষ করা হচ্ছে একসময়কার অনাবাদী এই বিলে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দাবি, চাষের আওতায় আসা ৫ হাজার একর জমিতে প্রায় ৭ হাজার টন ধান উৎপাদন হবে। পাশাপাশি ঘেরের পাড়ে তরমুজ, সিম, শসা, মুলা, কপিসহ বিভিন্ন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে লাভবান হচ্ছেন পাঁচ শতাধিক কৃষক ও জমির মালিক। লবণ পানি ঢুকতে না পারায় এখন নানা প্রজাতির সবজির আবাদ হয় শসীখালী বিলে। ছবি: সময় সংবাদ স্থানীয় চাষি মো. সাইদুল মালঙ্গী বলেন, ‘লবণ পানির জন্য এই শসীখালীর বিলে এক সময় কিছুই করতে পারতাম না। ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, স্থানীয় মেম্বারসহ সবাই মিলে লবণ পানি ঢোকার পথে বাঁধ দিয়েছি। এখানে আর লবন পানি প্রবেশ করে না। ধানসহ সবকিছুই চাষ করা যায়।’ তহিদুল ইসলাম নামের আরেক চাষি বলেন, ‘লবণ পানি না আশায় চাষীদের ব্যাপক উপকার হয়েছে। ধান, পেঁয়াজ, রসুন, তরমুজ সবকিছুরই খুব ভাল ফলন হয়েছে।’ হাওলাদার মো. আব্দুল হাই নামে এক জমির মালিক বলেন, এই বিলে আমার প্রায় ১০০ বিঘা জমি রয়েছে। তেমন কোনও ফসল হতো না। আমরা লবন পানির প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছি। যার কারণে বিলে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষীরা অনেক লাভবান হয়েছে। আরও পড়ুন: ‘লবণসহিষ্ণু ধান’ গবেষণায় পদক পেলেন অধ্যাপক শামসুল হক তিনি আরও বলেন, ‘এই বিলে এক সময় শুধু বাগদা চিংড়ির চাষ হতো। সাদা মাছের চাষও করা যেত না লবণের জন্য। এখন বাগদার পাশাপাশি সাদা মাছ ও গলদা চিংড়ি চাষ করছি আমরা।’ বিলে ধান চাষের খরচ ও উৎপাদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইব্রাহীম শেখ নামে এক চাষি বলেন, এই বিলে বেশির ভাগ জমিতেই মাছ চাষ হয়। ঘেরের মধ্যে ধান করতে ব্যয় অনেকটা কম। ৫২ শতকের প্রতি বিঘা জমিতে আমন ধান চাষে চার থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়। এতে ২৫ থেকে ৩৫ মন ধান পাওয়া যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ষাটগম্বুজ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসাইন খান বলেন, লবণ পানির প্রবেশ বন্ধ করায় এবার শসীখালীর বিলে প্রায় পাঁচ হাজার একর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এতে প্রায় সাত হাজার টন ধান উৎপাদন হবে। চাষীরা এরইমধ্যে ধান কাটা শুরু করেছে। ধানের পাশাপাশি সবজিসহ আইল ফসলও চাষ করছেন অনেকে। আরও পড়ুন: ‘লবণ চা’ জীবনের গল্প নাকি বঞ্চনার প্রতিচ্ছবি! ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় এলাকায় লবনাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে কৃষিজ উৎপাদন নানাভাবে ব্যহত হচ্ছে। তবে স্থানীয় কৃষক ও জমির মালিকদের সাথে নিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি, যাতে লবন পানির প্রবেশ বন্ধ করা যায়। শসীখালীর বিলে আমরা সেটা করতে সক্ষম হয়েছি। যার ফলে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।’ লবনাক্ততার কারণে যেসব বিল এখনও অনাবাদি রয়েছে সেসব বিলেও এ ধরণের পদ্ধতি অবলম্বন করলে কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন এই জনপ্রতিনিধি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply