উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবার পড়ল ১ হাজার কিমি দূরে!

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার জেরে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোরীয় উপদ্বীপ। রোববার (১৪ জানুয়ারি) ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কিম প্রশাসন। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, এটি একটি ‘সলিড-ফুয়েল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র’ ছিল। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই বছরের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ছবি: সংগৃহীত উত্তর কোরিয়ার নতুন করে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জেরে কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনার পারদ আবারও তুঙ্গে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করেই রোববার বছরের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় দেশটি। পূর্ব উপকূলের সাগর অভিমুখে এটি ছোঁড়া হয়, যা ৫০ কিলোমিটার ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে ১ হাজার কিলোমিটার দূরে সাগরে আঘাত হানে। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা পর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে কিম প্রশাসন। তাদের বরাতে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এটি একটি ‘মাল্টি-স্টেজ হাই-থ্রাস্ট সলিড-ফুয়েল ইঞ্জিন’, যা একটি মধ্যপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক হামলার হুমকি উত্তর কোরিয়ার এই পরীক্ষা প্রতিবেশী দেশুগুলোর জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করেনি এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমটি। এদিকে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সিউল। এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পরই এটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে তারা। এর সব তথ্য যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে আদান-প্রদান করার কথাও বিবৃতিতে জানানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে কিম জং উন কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছেন বলেও জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। অন্যদিকে জাপান বলছে, শিগগিরই আরও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। আরও পড়ুন: শত শত গোলা নিক্ষেপ, দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধের শঙ্কা! অন্যদিকে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কয়েক ঘণ্টা পরই রাশিয়া সফরে গেছেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে সামরিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মস্কো সফরের আগে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি কড়া বার্তা হিসেবে দেখছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।