Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বকেয়া টাকা চাওয়ায় চা দোকানী বাবুর শরীরে ফুটন্ত দুধ ঢেলে ঝলসে দিলো ক্রেতা।




বকেয়া টাকা চাওয়ায় চা দোকানী বাবুর শরীরে ফুটন্ত দুধ ঢেলে ঝলসে দিলো ক্রেতা। সোমবার মেহেরপুরে গরম দুধ ঢেলে চা দোকানীর শরীর ঝলসে দিয়েছে ক্রেতা। চা দোকানী বাবু (৩৮) মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ার মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে। সোমবার মেহেরপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে পশু হাসপাতালের গেটের বাইরে এই ঘটনা ঘটে। দোকানী বাকি দিতে অস্বীকৃতি ও আগের বকেয়া টাকা চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটায় মেহেরপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত নাড়ু মিয়ার দুই ছেলে খোকন (৪৫) ও সানোয়ারুল ইসলাম টেঙ্গর (৪২)। এতে চা দোকানী বাবুর শরীরের কয়েক জায়গা ঝলসে গেছে।

ভূক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায়। এ সময় ট্রাক ড্রাইভার সানোয়ারুল ইসলাম টেঙ্গর বাকিতে চা খেতে গেলে চা দোকানী বাবু তাকে পূর্বের বাকি পরিশোধের জন্য তাগাদা দেয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতান্ড হয়। অতঃপর টেঙ্গর মূল্য পরিশোধ না করে চলে যায়। সোমবার দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে টেঙ্গর তার বড় ভাই খাবার হোটেল ব্যবসায়ী খোকনকে সাথে নিয়ে আবারো বাবুর চায়ের দোকানে আসে। এ সময় বাবু তাকে চা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আবারো শুরু হয় বাগবিতন্ডা। বাকবিতন্ডা গালাগালিতে রুপান্তরিত হয়। এক পর্যায়ে খোকন ক্ষিপ্ত হয়ে বাবুর দোকানের চুলাতে থাকা সসপেনে ফুটতে থাকা গরম দুধ তার শরীরে ঢেলে দেয় ও বাসের লাঠি ও টুল দিয়ে পেটাতে থাকে। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী জাহিদ (৪২), আব্দুল কাদের (৪৪), সবুজ (২৪) সহ স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। ফুটন্ত দুধ ঢেলে দেওয়াতে চা দোকানী বাবুর শরীরের বুক, পেট, ডান হাত ও ডান পায়ের উরুর কিছু অংশ পুড়ে গেছে। সোমবার রাতে মেহেরপুর পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল আশরাফ রাজিব বলেন, ' চা দোকানী বাবু আমার এলাকার বাসিন্দা। সে খুবই নিরীহ একটা ছেলে। যে বা যারা অমানষিক,অমানবিক এ ঘটনা ঘটিয়েছে, আমি তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। আমি নিজে থানায় যেয়ে বিষয়টির আইনগত প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে অনুরোধ করবো। প্রয়োজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে আমি বিষয়টি অবহিত করবো। মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ কনি মিয়া বলেন, 'এ ধরনের কোন ঘটনার কথা আমার জানা নাই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply