Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » মেহেরপুরে ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশা




প্রণোদনার ভুট্টা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘জেলায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে চাষ হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর অধিক। তাছাড়া বাজারে ভুট্টার যথেষ্ট চাহিদা আছে। আবার বর্তমানে বাজার মূল্যও বেশ ভালো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকাই ফলন ব‍্যাপক হয়েছে। আশা করি আগামীতে ভুট্টা চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।’ মেহেরপুরে চলতি মৌসুমে ভুট্টার ফলন ও দামে বেজায় খুশি জেলার চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলন ও খরচের বিপরীতে দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় কৃষকদের পছন্দের ফসল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ভুট্টা। এ পণ‍্যটির বাজার দর ভালো পাওয়ায় অতীত সময়ের ভুট্টা চাষের কষ্টের স্মৃতি ভুলে গিয়ে খুশিতে রয়েছেন জেলার ভুট্টা চাষিরা। তাছাড়া ভুট্টা চাষ বছরের অধিকাংশ সময়ে আবাদ করা সম্ভব। তাই বর্তমান সময়েও অনেক চাষি ভুট্টা চাষ করছেন। স্থানীয় কৃষকরা জানান, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ভুট্টা চাষ করে তেমন কোনো ফলন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়নি তাদের। যার ফলে খরচের বিপরীতে দ্বিগুণ লাভের মুখ দেখছেন তারা। তাছাড়া বাজারে ভুট্টার চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ভুট্টা চাষ তার লক্ষ‍্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। আর সেই সঙ্গে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনের পাশাপাশি বাজার দর ভালো হওয়াই লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। তাছাড়া বর্তমানে দেশে ভুট্টার ব‍্যাপক চাহিদাও রয়েছে। জেলার মাঠ ঘুরে কৃষক ও ব‍্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে জেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে রয়েছে ছোট, বড় ও পরিপক্ব ভুট্টাক্ষেতের সমাহার। আবার অনেক চাষি আগাম অন্য ফসল ঘরে তুলে বর্তমানে সময়ে নতুন করে শুরু করছেন ভুট্টা চাষ। কেননা গো-খাদ‍্যের দাম বৃদ্ধির কারণে গো-খাদ‍্যের চাহিদা মেটাতে নতুন করে শুরু করেছেন ভুট্টা চাষ। বর্তমানে প্রকারভেদে প্রতি মণ ভুট্টা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। এক বিঘা জমিতে মানভেদে ৬০ থেকে ৫০ মণ পর্যন্ত ভুট্টার ফলন পাওয়া যাচ্ছে। আর প্রতি বিঘা ভুট্টা চাষে খরচ হয়ে থাকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। জেলার গাংনী উপজেলার নিশিপুর গ্রামের কৃষক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমার ভুট্টা চাষে এক বিঘা জমিতে চাষ, বীজ, সেচ, সার, কীটনাশক এবং পরিচর্যা বাবদ খরচ হয়েছে সাড়ে আট হাজার টাকা। আর বিঘায় ফলন হয়েছে ৫৮ মণ। এবার আমার ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে।’ বামন্দী বাজারের ভুট্টা ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে ভুট্টার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতি মণ ভুট্টা প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা করে। অনেক চাষি আছে যারা ভালো দাম পাওয়ার আশায় কাচা ভুট্টা ক্ষেত থেকে মাড়াই করে আমাদের কাছে বিক্রি করতে আসছে। তাদের ভুট্টা গুলো আবার ৯০০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। কেননা এগুলো শুকালে ওজন কমে যায়। সব দিক দিয়ে হিসেব করলে তুলনামূলক আড়তে এ বছর ভুট্টার আমদানিও বেশি আবার দামও বেশি।’ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, ‘জেলায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে চাষ হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর অধিক। তাছাড়া বাজারে ভুট্টার যথেষ্ট চাহিদা আছে। আবার বর্তমানে বাজার মূল্যও বেশ ভালো। আবহাওয়া অনুকূলে থাকাই ফলন ব‍্যাপক হয়েছে। আশা করি আগামীতে ভুট্টা চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply