Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » গাংনীতে সুজন হোসেন নামের এক ভূয়া ডাক্তারের দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত




ভূল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় মেহেরপুরের গাংনীতে সুজন হোসেন নামের এক ভূয়া ডাক্তারের দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার দাবি করে চিকিৎসা দেওয়ার অপরাধে তাকে এ দÐ দিয়ে মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও গাংনী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম। দণ্ডিত সুজন আলী মহাম্মদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। বৃৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা গেছে, বাওট গ্রামের মনিরুল ইসলামের দুই দিন বয়সী নবজাতক শিশুর চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় মহাম্মদপুর গ্রামের হালিমা ফার্মেসীতে। সেখানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শরিফুল ইসলামের ব্যক্তিগত চেম্বার ছিল। শরিফুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে সেখানে সুজন আলী নামের এক ব্যক্তি নিজেকে ডাক্তার দাবি করে নবজাতকের চিকিৎসা দেয়। কয়েকটি এন্টিবায়োটিক ওষুধসহ বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরে ওই ওষুধ সেবন করানোর পর নবজাতক আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিকেলে নবজাতকের মৃত্যু হলে ওই ফার্মেসীতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। জানা গেছে, সুজন আলী ওই চেম্বারে দীর্ঘদিন ধরেই ডাক্তার পরিচয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে আরও জানা যায়, সুজন আলী চিকিৎসার দেওয়ার অনুমতির বিষয়ে কোন বৈধতা প্রমাণ করতে পারেননি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে তাকে ভূয়া ডাক্তার হিসেবে প্রমাণ হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ এর ১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশে দণ্ডিত সুজন আলীকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আব্দুল আল মারুফ ও গাংনী থানা পুলিশের সহায়তায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply