Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » মেহেরপুরে ২ হাজার বাড়ির আঙিনার তৈরি হয়েছে পুষ্টি বাগান।




বাড়ির আঙিনায় পতিত জমিতে পুষ্টি বাগান দেশের এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে, প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণা বাস্তবায়নে ও পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মেহেরপুর কৃষি বিভাগ। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে জেলার ২০টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামে অন্তত ২ হাজার ২০০টি বাড়ির আঙিনার অনাবাদি জমিতে তৈরি করা হয়েছে পুষ্টি বাগান। প্রথম দিকে এই বাগান গড়ে তুলতে উদ্বৃদ্ধকরণের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে এসব পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। তবে এখন আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন শাকসবজির বীজ, সারসহ নানা সরঞ্জাম।

২০ জন বাগান উদ্যোক্তাকে নিয়ে দল গঠন করে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে তাদের দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ। কৃষি বিভাগের এ উদ্যোগের ফলে এরই মধ্যে জেলার বিভিন্ন গ্রামে বাড়ির আঙিনায় পতিত জমিতে করা হয়েছে পুষ্টি বাগান। এসব পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের মেয়াদ ৫ বছর। এরই মধ্যে তিন বছর পার হয়েছে। মেহেরপুরের কৃষকরা বলছেন, কৃষি বিভাগের এ উদ্যোগটি অনেকটাই সফল। তারা বিষমুক্ত শাকসবজি পাচ্ছেন। উদ্বৃত্ত ফসল বিক্রি করে আর্থিকভাবেও হচ্ছেন লাভবান। জেলার গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামের আরজউল্লাহ বলেন, কৃষি বিভাগের কোনো সহায়তা ছাড়াই পুষ্টি বাগান করেছি। আমার স্ত্রী বাগান পরিচর্যা করে। আমি তাকে পরিচর্ষার কাজে সহায়তা করি । এখানে যে সবজি চাষ করা হয়েছে তা কীটনাশকমুক্ত। রাসায়নিক সারের ব্যবহার করা হয়নি। শুধু ভার্মি কম্পোস্ট দিয়ে সবজি উৎপাদন করা হয়েছে। এই বাগান থেকে যে সবজি উৎপন্ন হয়। সেগুলো নিজেরা খাই এবং আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের দিই। আমার লক্ষ্য, বাড়ির পাশে পড়ে থাকা জমিতে বিষমুক্ত সবজি চাষে প্রতিবেশীদের উদ্বুদ্ধ করা। কারণ,বাজার থেকে আমরা যেসব সবজি কিনে খায়। সেগুলো বিষ দিয়ে উৎপাদন করা হয়। যার ফলে মানুষের রোগ-বালাই বাড়ছেই। একই উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের কৃষক শুকুর আলী বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে আমাকে প্রথমে ২ হাজার টাকা দিয়েছিল; যা দিয়ে আমার বাড়ির আঙিনা ঘিরে নানা ধরনের সবজি চাষ করেছি। এখন সারা বছর সবজি পেতে বীজ, সার ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে কৃষি বিভাগ। মেহেরপুর সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চায়না পারভিন বলেন, মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে বাড়ির পতিত জমিতে পুষ্টি বাগান করে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্প আরো দুই বছর চলবে। এটি একটি মডেল প্রকল্প। এই মডেলে কিষাণ-কিষাণিরা সারা বছর সবজি পাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর মেহেরপুরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় যাদের বাড়িতে পরিত্যক্ত জায়গা আছে তাদের উঠান বৈঠকের মাধ্যমে পুষ্টি বাগান করে দেওয়া হচ্ছে। মেহেরপুর জেলায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ২০০টি কৃষি পরিবার আছে। পর্যায়ক্রমে সব কৃষক পরিবারের বাড়ির পতিত জায়গায় নানা ধরনের সবজি চাষে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply