গেটস ফাউন্ডেশন থেকে বিদায় নিচ্ছেন মেলিন্ডা!
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো–চেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। খবর রয়টার্সের।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো–চেয়ারম্যান মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। ছবি: রয়টার্স
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো–চেয়ারম্যান মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। ছবি: রয়টার্স
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২ মিনিটে পড়ুন
সোমবার (১৩ মে) এক এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই।
মেলিন্ডা গেটস লিখেছেন,
বিল ও আমি একসঙ্গে যে ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছিলাম, সেটির জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত।
তিনি আরও বলেন,
বিল গেটসের সঙ্গে একটি চুক্তি মোতাবেক আমি ফাউন্ডেশন থেকে সরে যাচ্ছি। আমার হাতে বাড়তি ১২.৫ বিলিয়ন (১২৫০ কোটি) ডলার থাকবে নারী ও অসহায় পরিবারগুলোকে সহায়তায় কাজ করার জন্য।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন,
এটা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নয়, যা আমি হালকাভাবে নিয়েছি।
মেলিন্ডার ঘোষণার পর এক্স পোস্টে বিল গেটস লেখেন,
মেলিন্ডার চলে যাওয়াতে আমি দুঃখিত। কিন্তু আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে সে তার জনহিতকর কাজে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।
আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। মেলিন্ডা ২০০০ সালে তার তখনকার স্বামী বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এ ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। এ থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়ে থাকে। বিশ্বে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনাকারী সবচেয়ে বড় সংস্থা এ ফাউন্ডেশন।
সাতাশ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। তবে দুজনই তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অভিনন্দন
বর্তমানে বিশ্বে জনস্বাস্থ্য নিয়ে যেসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান কাজ করে, সেগুলোর অন্যতম বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এ ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলার ব্যয় করা হয়ে থাকে।
ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বিল ও মেলিন্ডা গেটস দম্পতি নিজেদের অর্থ থেকে এ ফাউন্ডেশনে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছেন।
Tag: world
No comments: