বাইডেন-ট্রাম বিতর্ক: চার বছর পর ফের মুখোমুখি
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম বিতর্কে বাইডেন ও ট্রাম্পের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরই মধ্যে জর্জিয়ায় পৌঁছেছেন এই দুই নেতা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ( ২৭ জুন) রাতে যখন বাইডেন ও ট্রাম্প বিতর্কের মঞ্চে আসবেন তখন এক ধরণের পুনর্মিলনও ঘটবে যদিও এই পুনর্মিলন বন্ধুত্বপূর্ণ নয়।
চলতি বছরের নির্বাচনের প্রথম বিতর্কে মুখোমুখি ট্রাম্প-বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরের নির্বাচনের প্রথম বিতর্কে মুখোমুখি ট্রাম্প-বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত
সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে রাত নয়টার এই বিতর্কে দুজনের ভেতরের খারাপ দিকগুলো বেরিয়ে আসতে পারে বলে আশংকা অনেকের।
ট্রাম্প কখনই ২০২০ সালের নির্বাচন বাইডেনের কাছে পরাজয় স্বীকার করেননি। এবং এর কয়েকদিন পর ট্রাম্পের সমর্থকরা ইউএস ক্যাপিটলে আক্রমণ চালায়। এছাড়া তিনি তার প্রতিপক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে ঐতিহ্য ভাঙ্গেন যুক্তরাষ্ট্রের।
আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। এই নির্বাচনের প্রচার শুরুর পর প্রথমবারের মতো তাদের বিতর্ক দেখতে লাখো আমেরিকান টেলিভিশনের সামনে বসছেন এবং নির্বাচনী বিতর্কের ওপর নজর রাখতে যাচ্ছেন।
সেদিক থেকে এই বিতর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তারা দুজনেই চাইবেন ভোটারদের মনোযোগ কাড়তে যাতে আগামী ৫ নভেম্বেরের ভোট তাদের নিজেদের পক্ষেই যায়।
আরও পড়ুন:বিতর্কে ট্রাম্পকে হারাতে বাইডেনকে যে পরামর্শ দিলেন হিলারি
বৃহস্পতিবারের রাতের বিতর্ক মঞ্চে আসার মধ্য দিয়ে চার বছর পর আবার একই মঞ্চে দেখা যাবে ট্রাম্প বাইডেনকে।
২০২০ সালের প্রথম বিতর্কে বক্তব্যের মাঝপথে বারবার কথা বলায় একপর্যায়ে ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বাইডেন বলেছিলেন ‘আপনি কি মুখটা বন্ধ রাখবেন, প্লিজ?
সেই বছর দ্বিতীয় বিতর্কের শুরুতে, ট্রাম্পের কোভিড হওয়ায় বিতর্কটি পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল। এমনকি দুই ব্যক্তি করমর্দনও করেননি।
এবার দুজনেই বিতর্ক নিয়ে অনুশীলন করতে পারেননি। কেউই প্রায় চার বছরের মধ্যে কোনো ধরনের বিতর্কে অংশ নেননি। এমনকি ট্রাম্প এই বছরের শুরুতে পার্টির সম্ভাব্য মনোনীত প্রার্থী হওয়ার পথে রিপাবলিকান প্রাথমিক বিতর্কগুলোও এড়িয়ে গেছেন।
এবারের বিতর্ক একটু আলাদা। এবার টেলিভিশন স্টুডিওতে বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগের বিতর্কগুলোর মত দর্শক থাকবে না। ফলে সরাসরি দর্শকদের উচ্ছ্বাস- উদ্দীপনা দেখা যাবে না। বাইডেনের প্রচার দলের অনুরোধ ছিল দর্শকদের না রাখার। তাই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:বাইডেনের মাদক পরীক্ষার দাবি মার্কিন চিকিৎসকের
এছাড়া এবারের বিতর্কে একজন যখন বক্তব্য রাখবেন তখন প্রতিপক্ষের মাইক্রোফোন বন্ধ থাকবে। ২০২০ সালে ট্রাম্প-বাইডেনের বিতর্কে হট্টগোল হয়েছিল বলে এবার এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম দুটি ইস্যু হলো অর্থনীতি ও অভিবাসন। এই বিতর্কের আগে এক জরিপে ভোটাররা ট্রাম্পকে অর্থনীতি এবং অভিবাসন বিষয়ে ভোট দিয়ে এগিয়ে রেখেছেন। অন্যদিকে বাইডেন দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় ভালো কাজ করেছেন বলে রায় দিয়েছেন। এছাড়া গর্ভপাত, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিবেশের পক্ষেও বাইডেন এগিয়ে।
নিজের দুর্বলতাগুলো যে প্রার্থী যত ভালোভাবে যুক্তি দিয়ে খণ্ডন করতে পারবেন বৃহস্পতিবারের বিতর্কে তিনি জিতবেন।
সূত্র: বিবিসি
Tag: world
No comments: