ট্রাম্পকে হত্যা করতে চেয়েছিল ইরান?

নির্বাচনি প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রের দায়ে একজন ইরানি ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে মার্কিন সরকার। খবর বিবিসির। ট্ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দেশটির বিচার বিভাগ ফরহাদ শাকেরি (৫১) নামে এক ইরানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনে। যদিও অভিযুক্ত শাকেরি এখন ইরানে অবস্থান করছেন। অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে ওই হত্যা চেষ্টা চালায় ইরান। অভিযোগে আরও বলা হয়, ইরান সরকার শাকেরিকে সাত দিনের মধ্যে হত্যার পরিকল্পনা জমা দিতে বলে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনের পরে হত্যা করা সহজ হবে বলে শাকেরিকে জানানো হয়েছিল। কেননা ইরান সরকার মনে করতো ট্রাম্প নির্বাচনে জিতবে না। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিশ্বে ইরানের মতো অনেকেই আছে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। বিচার বিভাগ ইরানি একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। যাকে মার্কিনিদের হত্যা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পও রয়েছেন।’ আরও পড়ুন: ট্রাম্পের জয়ে ১০ ধনকুবেরের পোয়াবারো প্রসিকিউটররা জানান, ফরহাদ শাকেরি একজন আফগান বংশোদ্ভূত। তিনি শৈশবে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং ডাকাতির মামলায় ১৪ বছর জেল খাটার পর ২০০৮ সালে মুক্তি পান। তারা আরও জানান, শাকেরি জেলে থাকতেই অপরাধীদের দ্বারা তৈরি একটি নেটওয়ার্কে যুক্ত হন এবং সেই নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে ইরান যাদের হত্যা করতে চাইতো তা তিনি বাস্তবায়ন করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় একজন ইরানের সমালোচক সাংবাদিককে হত্যা করার চেষ্টা চালানো হয়। হত্যা চেষ্টায় জড়িত সন্দেহে মার্কিন সরকার বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা দুজন হলেন কার্লিসেল রিভেরা (৪৯) এবং নিউইয়র্কের জোনাথন লোডহোল্ট (৩৬)।