১০টি মজার কৌতুক
পাগলা গারদে এক পাগল একটা মগের ভেতরে চামচ ঢুকাচ্ছে আর বের করছে। পাশ দিয়ে সেখানকার ডাক্তার যাচ্ছিল। দেখে জিজ্ঞেস করলেন, 'কী করছো?'
: ডাক্তার সাহেব, মাছ ধরছি চামচ দিয়ে।
'ভালো ভালো', বলে ডাক্তার চলে গেলেন।
ফেরার সময় দেখেন সেই পাগল তখনও একই কাজ করছে। ডাক্তার সাহেব জিজ্ঞেস করলেন, 'কি হে, কয়টা মাছ ধরলে?'
পাগল তখন মগে চামচ ঢোকানো বন্ধ করে উঠে এলো ডাক্তারের কাছে। ফিসফিস করে বললো, 'ডাক্তার সাহেব, দেরি কইরেন না, আজকেই এই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান।'
: মানে? কেন?
: কারণ এই মগের মধ্যে চামচ দিয়ে মাছ ধরা যায়, এটা শুধু কোনো পাগলই বিশ্বাস করতে পারে।
২#
এক লোক তার ছেলেকে গান শেখানোর পরিকল্পনা করলো। এক বিখ্যাত গায়কের সাথে যোগাযোগও করলো। গায়ক গান শেখানোর জন্য সাধারণত দশ হাজার টাকা নেন। তবে লোকটির ছেলের গান শুনে তিনি চাইলেন বিশ হাজার টাকা।
: ওস্তাদ, এত টাকা কেন? আপনি তো শুনেছি এর অর্ধেক নেন।'
: ঠিকই শুনেছেন, কিন্তু ওর জন্য এত টাকাই লাগবে।
: কেন ওস্তাদ?
: আপনার ছেলে দেখলাম বিটিএস ভক্ত। আগে যা গান শিখেছে সেগুলো ভুলাতেই অতিরিক্ত টাকাগুলো লাগবে।
৩#
জঙ্গলে বেড়াতে গেছে দুই বন্ধু। এক বন্ধু প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বসলে তার একটি 'নাজুক' জায়গায় সাপে কামড় দিলো। সে আর্তনাদ করে উঠলো। আরেক বন্ধু ফোন দিলো ডাক্তারকে।
: ডাক্তার সাহেব, আমার বন্ধুকে সাপে কামড়েছে।
: কী সাপ?
: গোখরো সাপ।
: সর্বনাশ! এক্ষুনি ঐ সাপে কাটা জায়গায় মুখ লাগিয়ে চুষে বিষটা বের করার চেষ্টা করুন। নইলে উনি এক ঘন্টার মধ্যে মারা যাবে।
বন্ধু ফোন রাখলো। আর্তনাদ করতে করতে সাপের কামড় খাওয়া বন্ধু জিজ্ঞেস করলো, 'কী বললো ডাক্তার?'
'বললো তুই এক ঘন্টার মধ্যে মারা যাবি।' বন্ধুর নির্লিপ্ত উত্তর।
৪#
গভীর রাতে এক লোকের বাসায় কয়েকজন পুলিশের লোক হাজির।
: আপনার জন্য একটা ভালো খবর আর আরেকটা খারাপ খবর আছে। কোনটা আগে শুনবেন?
: ভালোটাই আগে বলুন।
: ২৫ বছর আগে আপনার একটা ছেলে হারিয়ে গিয়েছিল না?
: জ্বি, জ্বি ইন্সপেক্টর সাহেব।
: আমরা তাকে খুঁজে পেয়েছি!
: আলহামদুলিল্লাহ! কী করে যে আপনাদের ধন্যবাদ দেবো...
: তার আগে খারাপ খবরটা শুনুন। আপনার সেই হারিয়ে যাওয়া ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং খুনের আসামী। আমরা তাকে ধরেছি, আপনাকে এখন আমাদের সাথে থানায় যেতে হবে...
৫#
স্ত্রী হারিয়ে যাওয়ায় এক লোক থানায় গেছে।
: আপনার স্ত্রীর কোনো ছবি এনেছেন?
: জি না স্যার... ছবি তো আনি নাই... তাড়াহুড়া করে চলে আসায় ভুলে গেছি।
: আচ্ছা... তাহলে তিনি দেখতে কেমন বিস্তারিত এই কাগজে বর্ণনা করে লিখে দিন।
: লিখতে পারি, কিন্তু এক শর্তে?
: বলুন!
: আমার স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়ার পর এই কাগজ তাকে কোনোভাবেই দেখানো যাবে না...
৬#
একটা ছেলে আর মেয়ে।
ছেলে: তোমাকে একটা জিনিস দেখাবো।
মেয়ে: দেখাও।
ছেলে: এখানে না, ঘরে চলো।
মেয়ে: বেশ চলো।
ঘরে ঢোকার পর-
ছেলে: দরজাটা লাগাতে হবে।
মেয়ে: লাগাও।
ছেলে: জানালাটাও।
মেয়ে: লাগাও।
ছেলে: লাইটটা অফ করি?
মেয়ে: (ইতস্তত) করো।
ছেলে: এই দেখো... গতকালই কিনেছি...
মেয়েটা দেখলো ছেলেটার হাতে একটা রেডিয়ামের ঘড়ি জ্বল জ্বল করছে।
৭#
এক পোলিশ তরুণ আমেরিকান তরুণীকে বিয়ে করেছে। কিন্তু বিয়ের সাতদিনের মাথাতেই পোলিশ তরুণ ডিভোর্স চাইলো।
উকিল জিজ্ঞেস করলো, 'বিয়ের হয়েছে মাত্র এক সপ্তাহ, এখনই ডিভোর্স চাইছেন? কারণ কী?'
: প্রথম ছয় দিন সব ঠিকই ছিল।
: তাহলে?
: গতকাল দেখি লিস্ট নিয়ে শপিংয়ে যাচ্ছে। লিস্টের এক নম্বরে লেখা, 'পোলিশ রিমুভার'।
৮#
এক চিতা গেলো সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে।
: কী সমস্যা আপনার?
: আমি আমার স্ত্রীর দিকে তাকালে শুধু ডট ডট দেখি...
: এটা তো খুবই স্বাভাবিক।
: কিন্তু আমার স্ত্রী তো জেব্রা...
৯#
: ভাই দশ নাম্বার সড়কটা কোন দিকে?
: পাঁচ নম্বর সড়কটা দুইবার চক্কর দিয়ে দেখতে পারেন...
১০#
মেয়ে গিয়েছে মায়ের কাছে।
: মা আমি কি অনেক মোটা?
: না তো, তুই তো বেশ স্লিম।
: আমি কি বাট্টু?
: না না, কখনোই না।
: তাহলে কি আমি ঝগড়াটে?
: না না, তা কেন হবে!
: তাহলে সবাই কেন বলে আমি বাবার মতো না, মায়ের মতো হয়েছি?
No comments: