Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চান, জানালেন ড. ইউনূস




বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের ওপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী, আমরাও ব্যবসা করি। আমরা কোনো দানের অর্থ চাই না, আমরা চাই একজন ব্যবসায়িক অংশীদার।’ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান তিনি। ইউনূসের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে একটি বিনিয়োগবান্ধব দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করা। ট্রাম্পের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সংকট থেকে বের হতে সাহায্যের জন্য অর্থ চাইছি না; আমরা চাই সমানভাবে ব্যবসা করার সুযোগ।

টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতা দখল করা অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে। এ অবস্থায়, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ধরে রাখা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক এই সমর্থনের প্রতীকী উদাহরণ। তবে আগামী জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন ড. ইউনূসের সরকারের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কারণ, নির্বাচনে মাত্র ছয়দিন আগে গত ৩১ অক্টোবর ট্রাম্প বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা নিয়ে কঠোর মন্তব্য করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ তিনি লেখেন, ‘হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর বর্বর হামলা এবং লুটপাট চলছে, যা বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মন্তব্য বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আওয়ামী লীগ ও ভারতীয়-আমেরিকান প্রভাবশালী গোষ্ঠী বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে লবিং করছে। আরো পড়ুন : বিচারের পরই নির্বাচনে স্বাগত জানানো হবে আওয়ামী লীগকে : ড. ইউনূস এমন প্রেক্ষাপটে অতীত অবস্থান থেকে সরে এসে ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করলেন ড. ইউনূস। তবে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের ফিরে আসা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য সুখকর নাও হতে পারে। তা সময়ই বলে দেবে। প্রথম মেয়াদে ২০১৬ সালে ট্রাম্পের জয় ও বন্ধু হিলারি ক্লিনটনের পরাজয়ে প্রকাশ্যে হতাশা প্রকাশ করে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় আমাদের এতটাই আঘাত করেছে যে সকালে আমি কথা বলতে পারছিলাম না।’ গুঞ্জন উঠেছে, নতুন ট্রাম্প প্রশাসনের নানা বাধার সম্মুখীন হতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কারণ, আগেরবার ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বন্ধু হিলারি ক্লিনটন হেরে যাওয়ার হতাশা প্রকাশ করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এবার তিনি সরকারপ্রধান হওয়ার পর বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের কঠোর সমালোচনা করছেন ট্রাম্প। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণায় টাকা ঢালার অভিযোগ উঠেছিল। আমেরিকান সংবাদমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের তথ্য অনুযায়ী, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন গ্রামীণ আমেরিকা ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে ১ লাখ থেকে ২ দশমিক ৫ লাখ ডলার এবং গ্রামীণ রিসার্চ ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার দান করেছিল। ওই প্রসঙ্গ তুলে ধরে ট্রাম্পও ড. ইউনূসকে কটাক্ষ করেছিলেন বলে আওয়ামী লীগ নেতার সূত্রে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে। তাতে দাবি করা হয়, বিজয়ের পর বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটনে ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিল। তখন ট্রাম্প তাদের বলেন, ‘ঢাকার ক্ষুদ্রঋণের লোকটি কোথায়? শুনেছি আমার হারের জন্য টাকা ঢেলেছেন তিনি। ইউনূসের ট্রাম্প-বিরোধী বক্তব্য এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে ট্রাম্পের প্রকাশ্য নিন্দা ইউনূসের জন্য ওয়াশিংটনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বাংলাদেশে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ বেড়েছে, যেটাকে ইউনূস রাজনৈতিক ইস্যু বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু ট্রাম্প এই সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমি ক্ষমতায় থাকলে এটি ঘটত না। তিনি আমেরিকা ও বিশ্বব্যাপী হিন্দুদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদের সম্পর্কের বিষয়টিও উঠে এসেছে টাইম ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে প্রফেসর ইউনূসের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণে শেখ হাসিনার পতনের পরও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে পেরেছে। বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের জন্য একটি আর্থিক অনুদান চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ও নির্বাচনের আগে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি জানিয়েছিল। এতে বিএনপি ক্ষুব্ধ হয়েছিল, কারণ দলটি দ্রুত নির্বাচন চায়। এখন সেই আর্থিক অনুদান বাংলাদেশ পায় কিনা সেটি দেখার বিষয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply