জেল থেকে চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক ইমরান খানের
কারাগার থেকেই চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আগামী ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদ অভিমুখে পদযাত্রা করবে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
আবারও মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে ইমরান খানের দল পিটিআই। ফাইল ছবি
বুধবার (১৩ নভেম্বর) আদিয়ালা কারাগারের বাইরে ইমরান খানের আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী এ কথা জানান। খবর জিও নিউজের।
ওই আইনজীবী বলেন, পিটিআই’র প্রতিষ্ঠাতা ইসলামাবাদ মার্চের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন-সংক্রান্ত সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী প্রত্যাহার এবং বিনা বিচারে গ্রেফতার ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন পিটিআই নেতাকর্মীরা।
ইমরানের আইনজীবী জানান, শুধু ইসলামাবাদেই নয়, কর্মসূচি হবে পাকিস্তানজুড়ে। এছাড়া ইমরান খানের সমর্থকরা যেখানে আছেন, সেখানেই বিক্ষোভ হবে।
আরও পড়ুন: উত্তাল পাকিস্তানের রাজনীতি /ইমরান খানের কারামুক্তিতে কি হস্তক্ষেপ করবেন ট্রাম্প?
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের ঘটনা নিয়েও উত্তপ্ত পাকিস্তানের রাজনীতির মাঠ। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য ট্রাম্প চাপ দেবেন কি না, এ নিয়ে তর্কবির্তর্কে জড়িয়েছেন পাকিস্তানের মন্ত্রী ও বিরোধী নেতারা।
সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট বলছে, প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের জয় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকদের মধ্যে আশা জাগিয়েছে।
পিটিআই নেতা সৈয়দ জুলফি বুখারি গণমাধ্যমকে বলেন,
আমি ট্রাম্পের দল, ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা এবং জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ইমরান খানের বিরুদ্ধে হওয়া অবিচার নিয়ে কথা বলব।
এছাড়া ইমরান খানের প্রতি ট্রাম্পের ‘সফট কর্নার’ রয়েছে এবং খানের কারাবাস নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বলেও দাবি করেন বুখারি। এরমধ্যেই ইমরান খানকে জেল থেকে বের করে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্পের একটি ভুয়া ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা বিভ্রান্তি বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানে ব্যাপক বিক্ষোভ
তবে পিটিআইর দাবি উড়িয়ে দিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। বিষয়টি (ইমরান খানের কারামুক্তিতে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের দাবি) প্রত্যাখ্যান করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র।
No comments: