Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » বিয়ের আগে কি ব্লাড টেস্ট জরুরী ?




বিয়ের আগে কি ব্লাড টেস্ট জরুরী ? প্রথমেই রক্তের গ্রুপগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। রক্তের গ্রুপের দুটি বিভাজন রয়েছে । এবিও পদ্ধতি ( অর্থাৎ এ, বি, এবি এবং ও ) অন্যটা আরএইচ ফ্যাক্টর ( আরএইচ পজেটিভ এবং আরএইচ নেগেটিভ ) । আরএইচ ফ্যাক্টর একটি জিনবাহিত প্রোটিন যা লোহিত রক্তকণিকার ভেতরে থাকে। যাদের ব্লাড টাইপ পজিটিভ তাদের রক্তে আরএইচ প্রোটিন থাকে। ব্লাড টাইপ নেগেটিভ হলে এই প্রোটিন থাকে না। আরএইচ ফ্যাক্টরই ঠিক করে দেয়- ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হবে, না নেগেটিভ হবে । ব্লাড গ্রুপগুলো হলো- এ পজেটিভ, এ নেগেটিভ, বি পজেটিভ, বি নেগেটিভ, এবি পজেটিভ, এবি নেগেটিভ, ও পজেটিভ এবং ও নেগেটিভ ।

স্বামীর রক্তের গ্রুপ যদি পজিটিভ হয়, তাহলে স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ পজিটিভ হলে ভালো। আবার স্বামীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হলে, স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ পজিটিভ হলে ক্ষতি নেই। কিন্তু স্বামীর রক্তের গ্রুপ যদি পজিটিভ হয়, স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ একই গ্রুপের নেগেটিভ না হলেই ভালো। আর স্ত্রীর গ্রুপ যদি নেগেটিভ হয়, তবে তার জন্য নেগেটিভ গ্রুপধারী স্বামী হলে অনাগত সন্তানের স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু ঝুঁকি এড়ানো যায়। বিষয়টি এভাবে বলা যেতে পারে, স্বামীর রক্ত পজিটিভ আর স্ত্রীর যদি নেগেটিভ হয়, তবে প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে বড় মাপের জটিলতা না হলেও দ্বিতীয় সন্তান থেকে সমস্যা শুরু হতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রথম সন্তান যদি পজিটিভ গ্রুপের রক্ত নিয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং দ্বিতীয় সন্তানেরও যদি রক্ত পজিটিভ হয় সে ক্ষেত্রে বেশি জটিলতা দেখা দেয়। যদি কারো স্বামীর গ্রুপ পজিটিভ ও স্ত্রীর গ্রুপ নেগেটিভ হয়, তবে সন্তান প্রসবের আগেই স্ত্রীর শরীরে বিশেষ ইমিউনোগ্লোবিউলিন প্রয়োগ করে মৃত্যুর আশঙ্কা কমানো যায়। স্বামী ও স্ত্রী শরীরে থাকা জিন অনেক অসুখের কারণ হতে পারে, যেমন—থ্যালাসেমিয়া এবং সিকল্ সেল ডিজিজ। বিশেষ করে, মা-বাবা থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হলে সন্তানের এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অন্য দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন হেপাটাইটিস – বি রোগে আক্রান্ত হলে অন্যজনেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। রক্ত পরীক্ষা করলে এ ব্যাপারে অনেক তথ্য জানা যায়। ফলে দাম্পত্যজীবন নীরোগ হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে সন্তানের ব্যাধি সারাতে সুবিধা হতে পারে






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply