গাংনীতে চল্লিশ টা ইভাটাতেই নির্বিচারে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ।
গাংনীতে চল্লিশ টা ইভাটাতেই নির্বিচারে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কয়লা ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এ যেন এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মেতেছে ভাটার মালিকরা। ফলে উজাড় হচ্ছে এলাকার গাছপালা ও বনাঞ্চল।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, আইন উপেক্ষা করে যে সকল মালিক ইটভাটা পরিচালনা করে চলেছেন ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ওই ইটভাটা গুলোতে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও বৈধতা না থাকার পরেও চলছে অনেক ইটভাটা। সব ভাটাতেই নির্বিচারে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। কয়লার দাম বেশি হওয়ায় জ্বালানি হিসেবে কাঠকেই বেছে নিচ্ছেন ইটভাটার মালিকরা।
অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েও খুব বেশি সুফল মিলছে না; বরং অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
গাংনী ইটভাটা মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক বিশ্বাস ব্রিকসের মালিক চঞ্চল বিশ্বাস জানান, চলতি বছরে গাংনীতে তেতাল্লিশ টি ইটভাটা রয়েছে। কোনোটারই লাইসেন্স নেই। তেরো সালের পর থেকে সরকার লাইসেন্স দিচ্ছেনা। তাই সব দিক ম্যানেজ করেই আগে যেভাবে চালানো হতো এ বছরও সেভাবেই ইটভাটাগুলো পারিচালনা করা হচ্ছে।
এদিকে এ এলাকার ৬টি পরিবেশ বান্ধব হাওয়া ভাটা রয়েছে। একটির মালিক জয়নাল আবেদীন জানান, আমি পরিবেশ ছাড়পত্র নিয়ে ব্যবসা শুরু করি। হাওয়া ভাটায় খরচ বেশি হওয়ায় ফিট ভাটা ব্যবসার সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে।
Tag: English News Entertainment national politics Zilla News
No comments: