Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » » » মেহেরপুরের ভাষা সৈনিক গোলাম কাউসার চানা আর নেই




মেহেরপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক জিএম মামুন লাকির পিতা ভাষাসৈনিক গোলাম কাউছার ইন্তেকাল করেছেন.... ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন সকলে ওনার জন্য দোআ করবেন। মরহুমের নামাজে জানাজা ১৫ ডিসেম্বর আগামীকাল রোজ রবিবার সকাল দশটায় হোটেল বা

জার জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত জানা যায় সকল মুসলিম ভাইদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে তার পরিবারমেহেরপুরের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য নাম গোলাম কাউসার চানা। তিনি মেহেরপুরের ১ নম্বর ওয়ার্ড পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়াস্থ নিজ বাসায় আজ ১৪ ডিসেম্বর সকালে ইন্তেকাল করছেন নিজ বাসভবনে।। তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। তার বাড়ি মেহেরপুরের পুরাতন পোস্ট অফিসপাড়ায়। এই মহান ভাষা সৈনিকের সাথে সম্প্রতি আমার কথা হয়েছে মেহেরপুরের মল্লিকপাড়াস্থ তার মেয়ে গুলবদন আরা ইভার বাসায়। আমার সাথে ছিলেন মেহেরপুরের সাংবাদিক ও কবি মেহের আমজাদ ও গোলাম কাউসার চানার ছেলে দৈনিক আকাশ খবর প্রতিনিধি ও মেহেরপুর প্রেসক্লাবের কোষাধক্ষ্য জিএফ মামুন লাকি। উপস্থিত ছিলেন গোলাম কাউসার চানার জামাই গ্রামীন ব্যাংক, ঠাকুরগাঁও শাখার সাবেক ম্যানেজার ইনামুল হক। বয়সের ভারে গোলাম কাউসার চানা দূর্বল হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালে যেতে হয় মাঝে মধ্যে। ঢাকা থেকে মেহেরপুরে গিয়ে তার সাথে দেখা করায় তিনি খুব খুশি হয়েছেন। পারিবারিক তিনি আমার আত্মীয় এবং সম্পর্কে ভাই। তিনি আমাদের গ্রামের বাড়ি গাংনীর আজান গ্রামের রহমত ভাইয়ের ভায়রা। রহমত ভাইয়ের ছেলে মেহেরপুরের মল্লিকপাড়াস্থ ব্যাংকার প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের সাথে তার মেয়ে বিয়ে হয়। গোলাম কাউসার চানার ছেলে সাংবাদিক জিএফ মামুন লাকির সাথে আমার আমার ঘনিষ্ট সম্পর্ক। মেহেরপুরে গেলে তার সাথে প্রায়ই দেখা হয় এবং মোবাইলে নিয়মিত কথা হয়। ৫২-এর ভাষা সৈনিকদের হত্যার বিরুদ্ধে যে কয়জন মেহেরপুরে প্রতিবাদ ও মিছিল করেছিলেন তাদের মধ্যে গোলাম কাওসার চানা অন্যতম। ভাষা আন্দোলনের সময়ে মেহেরপুরে যে ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন হয়েছিল, সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন গোলাম কাউসার চানা এবং সভাপতি ছিলেন মুন্সী সাখাওয়াত হোসেন। ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ সালাম বরকত জব্বারদের হত্যার কথা মেহেরপুরে পরের দিন শুনতে পাওয়া যায়। তৎক্ষণাৎ মুন্সী সাখাওয়াত হোসেন ও গোলাম কাউসার চানার নেতৃত্বে ঢাকায় হত্যার প্রতিবাদে মেহেরপুরের রাস্তায় রাস্তায় প্রতিবাদ ও মিছিল করেছিলেন। পাক সরকারের ভাষা আন্দোলনের সময়ে তিনি মেহেরপুর উচ্চ ইংরেজি মডেল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ভাষা সৈনিক গোলাম কাউসার চানা আমাদেরকে বলেন,‘১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকা ধর্মঘট চলাকালে ঢাকায় ছাত্রদের মিছিলে গুলি করা হয়। এ খবর পেয়ে তৎকালীন মেহেরপুর উচ্চ ইংরেজি মডেল স্কুলের হোস্টেলের ছাত্ররা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। আমরা তখন ওই হোস্টেলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ২৩ ফেব্রুয়ারি আবুল কালামের সভাপতিত্বে পৌর কালাচাঁদ মেমোরিয়াল হলের সামনে এক সমাবেশ হয়। সমাবেশে সরকারের নীতিনির্ধারণের সমালোচনা ও রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে জোরালো বক্তব্য রাখা হয়। মুন্সি সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে আমরা মেহেরপুর উচ্চ ইংরেজি মডেল স্কুলের মুসলিম হোস্টেলের ছাত্ররা পোস্টারিং, পিকেটিং করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করি। গোলাম কাউসার চানা জানান, ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করতে গিয়ে পুলিশের নির্যাতন এমনকি কারাবরণ করতে হয় তৎকালীন উচ্চ ইংরেজি মডেল স্কুলের সাত শিক্ষার্থীকে। স্কুলের ছাত্ররা একুশে ফেব্রুয়ারি ক্লাস থেকে বেরিয়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে মিছিল নিয়ে শহরে বের হয়। শিক্ষকরা প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেদিন। ভয়-ভীতি দেখানোর পরও সেই বাঁধার প্রাচীর ভেঙে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন বন্ধ করতে পারেনি। শিক্ষকদের আদেশ অমান্য করে একুশে পালনের অপরাধে ইসমাইল ও নজির হোসেন বিশ্বাসসহ সাতজন ছাত্রকে আটক করে পুলিশ। পরে জামিনে মুক্তি পেলেও স্কুল কমিটির সিদ্ধান্তে তাদের ফোর্স টিসি দেওয়া হয়। তারা সবাই এখন পরপারে। গোলাম কাউসার চানা ১৯৩০ সাল রতনপুর মিশন হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন।বাবা তিন কড়ি শেখ, মা জয়তুন নেছা। গোলাম কাউসার চানা ৭১ মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণ করেছিলেন তবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে রাষ্ট্রের খেতাব আজও পাননি। গোলাম কাউসার চানা রাষ্ট্রীয়ভাবে সেইভাবে মূল্যায়িত না হলেও, প্রতিবছর মেহেরপুর জেলা প্রশাসক এই ভাষা আন্দোলন কারীর হাতে সম্মানসূচক ক্রেস্ট ফুল ও ফল তুলে দেন বলে জানা গেছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে তিনি মেহেরপুর পৌরসভায় কর আদায়কারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এখন তিনি অধিকাংশ সময়ে অসুস্থ থাকেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহর অসীম কৃপায় ওষুধপত্র খেয়ে কোন রকমে টিকে আছি। তার দাবি ভাষা আন্দোলনের ভূমিকার রাখার রাস্ট্রীয় স্বীকৃতি ও বাকী জীবনের নিরাপত্তার জন্য সম্মানী ভাতা প্রদান করা হোক।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply