দাদের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে নেপথ্যে কারণটা কী?
দাদের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে নেপথ্যে কারণটা কী?
এ ব্যাপারে কলকাতার মেডিসিনের চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার মনে করছেন
ত্বকের যে অঞ্চল অধিকাংশ সময়ে ঘেমে থাকে, সেই অঞ্চলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি। কাজেই বাহুমূল, ঘাড়, স্তনের নীচের দিক, যৌনাঙ্গ ও কুঁচকির এলাকা যতটা সম্ভব পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শরীরের বিভিন্ন অংশে জমে থাকা ঘাম এবং ধুলোবালিও বিভিন্ন ধরনের ক্ষত ও চুলকানির কারণ হতে পারে বলেই মনে করছেন মেডিসিনের চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার। তাঁর কথায়, “পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাটা খুব জরুরি। আর সেই সঙ্গে কী ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করছেন, তা-ও খেয়াল রাখতে হবে। বেশি রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনীর ব্যবহার এখন বেড়েছে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
ফর্সা হওয়ার ক্রিমে যেমন স্টেরয়েড থাকে, তেমনই থাকে হাইড্রোকুইনোন নামে একটি ব্লিচ আর ট্রেটিনয়েন নামক একটি উপাদান। দাদ-হাজা কমানোর জন্য বাজারচলতি মলম আসলে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অত্যন্ত শক্তিশালী একটি স্টেরয়েডের ভয়ঙ্কর ককটেল।
দাদ প্রতিরোধ করার উপায় হিসেবে বলা যায়, এক, পরিচ্ছন্নতায় জোর দেওয়া, আর দুই, স্টেরয়েডের ব্যবহার কমানো। বেশি রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনীর ব্যবহার করলেই যে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে, তা নয়। পুরোটাই সাময়িক। আসলে ত্বকের রং নির্ধারণ করা মেলানিন রঞ্জককে কোনও ভাবেই ক্রিম ঘষে বাড়ানো-কমানো যায় না। এই বিষয়টিতেই সবচেয়ে আগে সচেতন হতে হবে। ওষুধই যদি প্রতিরোধী হয়ে যায়, তা হলে দাদের মতো সংক্রমণের জন্য দায়ী ছত্রাকের রাসায়নিক বদল বা ‘মিউটেশন’ খুব দ্রুত হবে। ফলে তখন আর এই ধরনের সংক্রমণকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।
গ্রন্থনা: মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।
Tag: Featured world Zilla News
No comments: