বৃটিশ আমলে মেহেরপুরের মুন্সী জমিরুদ্দীন খৃষ্টানধর্মের বিরুদ্ধে সবসমেত ১০৮ খানি ক্ষুদ্র পুস্তক-পুস্তিকা প্রকাশ করিয়াছেন ( সাতাশি পর্ব )

বৃটিশ আমলে মেহেরপুরের মুন্সী জমিরুদ্দীন খৃষ্টানধর্মের বিরুদ্ধে সব্বপযমেত ১০৮ খানি ক্ষুদ্র পুস্তক-পুস্তিকা প্রকাশ করিয়াছেন ( সাতাশি পর্ব ) মুন্সী জমিরুদ্দীন বিশুদ্ধ শিল্প-প্রেরণায় সাহিত্য চরচা করেন নি, বিশেষ উদ্দেশ্য-সংলগ্র হয়েই তিণি লেখনী ধারণ করেন। ইসলামের সত্য ও সৌন্দর্য অন্বেষণ ও প্রচারই ছিলো তাঁর জীবনের ব্রত। এ কাজ করতে গিয়ে তাকে ভিন্নধর্মী বিরুদ্ধপক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছে বারবার। মুলত ধর্মপ্রচার ও সেই সুত্রে খীস্টান পাদ্রীদের সঙ্গে বাদানুবাদই তাঁকে লেখক হতে উদ্বুদ্ধ করে। তাই সঙ্গত কারণেই এসব রচনার বিশেষ কোনে! সাহিত্যমূলা নেই, আছে কেবল প্রচারমূল্য ৷ প্রকৃতপক্ষে ধর্মীয় প্রয়োজনে, সমাজ হিতের কারণে তাকে আমৃত্যু অক্লান্তভাবে লেখনী-চালনা করতে হয়েছে। জমিরুদ্দীনের গ্রন্থ বা রচনার সঠিক সংখ্যার হদিশ আজকের দিনে পাওয়া খুবই দুস্কর। তীর ক্ষদ্রায়তন প্রচার-পুক্তিকাগুলো এখন দৃষ্প্রাপ্য, যে-সব পত্র-পত্রিকায় তিনি লিখতেন তা-ও আক আর সুলভ নয়। কেউ কেউ জানিয়েছেন, “...তিনি খৃষ্টানধর্মের বিরুদ্ধে সর্বসমেত ১ এক শত আট খানি ক্ষুদ্র পুস্তক-পুস্তিকা প্রকাশ করিয়াছেন । ফুরফুরা শরীফের পীর মুহম্মদ আবুবকরের এক বিবৃতি থেকে জান যায়, বায়ান্ন খানা পুস্তকের পাল্টা প্রতিবাদ-পুস্তক রচনার নির্দেশ দেন জমিরুদ্দীনকে। '“রদ্দে শ্রীষ্টান' বা “রদ্দে নাছার। সিরিজের সুত্রপাত হয় এখান থেকেই । জমিরুদ্দীণ লেখক হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন । তার প্রায় প্রতিটি পুস্তিকারই একাধিক সংস্করণ এই বক্তব্যকে সমর্থন করে । সুত্র:বাংলা একাডেমী?? গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।