মেহেরপুর সরকরী বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে দশকোটি টাকার বহুতল ভবন নির্মানে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর প্রেতাত্বা ছোট ভাই ও ভগ্নিপতি মানুষের নজর এড়াতে রাতভর পিলার সহ বিভিন্ন ঢালাইর মত নির্মানে কাজে ব্যাপক অনিয়ম করছে। দুইটি স্কুলে নিয়ম অনুযায়ী নির্মাণ এরিয়ায় কাজের বিবরণ সম্বলিত সাইন বোর্ড দৃশ্যমান থাকার কথা থাকলেও তা টানানো হয়নি। মেহেরপুর সরকরী বালিক বিদ্যালয় ও মেহেরপুর সরকরী বালিকা বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের ঠিকাদার দিনাজপুরের এম এমই অ্যান্ড এম বি সি’র লাইসেন্সে কাজ করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সাবেক ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল তার ভগ্নিপতি, মেহেরপুর জেলা আ.লীগ সহসভাপতি ও পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস তিন জন এখন মেহেরপুর জেলা একধিক মামলায় জেল বন্দি রয়েছে। গত মে মাস থেকে ঠিকাদার বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে রেখেছিল একাডেমি ভবন নির্মাণ কাজের সামগ্রী। শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর দিনই ঠিকাদারও আত্মগোপনে চলে গেছেন।এখন পরিবেশ অনুকূলে তাই গভীর রাতে কাজে গতি বাড়িয়েছে । প্রায় দশকোটি টাকার কাজে ব্যাপক অনিয়ম মানুষের নজর এড়াতে মেহেরপুর সরকরী বালিকা বিদ্যালয়ে বহুতল ভবনে সারা রাত কাজ করছে । খুলনা বিভাগীয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বঙ্গঁবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নেতা মেহেরপুর শিক্ষা প্রকৌশলী মেহেরপুর শিক্ষা নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল আহসান এখন বিএনপি প্রকৌশলী নেতা সেজেঁছে ।তিনি ঠিকেদারের শর্তাবলী শিথিল করে নিম্ন মানের রড, বালি ,পাথর, বালু ,সিমেন্ট ব্যবহার করছে।বাংলাদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রী সাবেক ফরহাদ হোসেনের স্কুল,কলেজ ,মাদ্রাসার নির্মাণ দায়সারা ভাবে নিম্নমানের কাজের বিশ্বস্ত পরিকল্পনাকারী ছিলেন মেহেরপুর শিক্ষা নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল আহসান। এখন তিনি রূপ পাল্টিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতা ছিল বলে বহাল তবিয়তে জনপ্রশাসন মন্ত্রী সাবেক ফরহাদ হোসেনের পবিারের ঠিকাদারী রক্ষক হিসেবে কাজ করছে।েএ ব্যাপারে মেহেরপুর শিক্ষা নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল আহসান বলেন ঠিকাদারের প্রতিঘন্টার সময় দাম রয়েছে তাই সারারাত কাজ করতে হবে।আমি দুই বছর মেহেরপুরে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব রয়েছি। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বঙ্গঁ পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন এর সত্যতা কি ? তিনি বলেন বাংলাদেশে কে বঙ্গঁ বন্ধ মুজিব ভক্ত ছিনা না ? একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও নির্মাণ কাজেও করা হয়েছে অনিয়ম এমন অভিযোগ সচেতন এলাকাবাসীর। নিয়ম অনুযায়ী নির্মাণ এরিয়ায় কাজের বিবরণ সম্বলিত সাইন বোর্ড দৃশ্যমান থাকার কথা থাকলেও তা টানানো হয়নি। ফলে এই কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, নিম্নমানের ইট, খোয়া, বালি দিয়ে নির্মাণ কাজ চলছে। বিদ্যালয়ের ভবনের মূল স্থাপনার পিলারের ঢালাই হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে দুই-তিন নম্বর ও নম্বরবিহীন নিম্নমানের ইট এবং ইটের খোয়া। পা দিয়ে একটু জোরে চাপ দিলেই গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে ইট ও ইটের খোয়াগুলো। সিডিউলে উন্নতমানের ইট, পাথর ও রড, সিমেন্ট দিয়ে কাজ করার কথা উল্লেখ রয়েছে।মেহেরপুর সরকরী বালিকা বিদ্যালয়ে বহুতল ভবনের এক রাজ মিস্ত্রি বলেন বড়সাহেব বলছে কাজ কর কেই কি বলে তা কান দিবে না ।আসলে ঠিকাদার তো তার সাথে আঁতাত করে নিম্নমানের , পাথর,নিম্নমানরে রড সমদুরত্বে রড না দেয়া এবং পরিমাণে কম সিমেন্ট ও অতিরিক্ত পরিমাণে সাদা বালু ব্যবহার করেছে । । সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুল মাঠেই নির্মাণ সামগ্রী রেখে পাইলিংয়ের পিলার শেষ হয়েছে । এখন একতলা ভবনের পিলার পিলার শেষ হয়েছে । একতলা ভবনের ছাত ঢালাই জন্য সাটারিং চলছে। নিম্ন মানের ইট, কাঠ, মাটি, পাথর, বালু ফেলে রাখা হয়েছে মাঠের দুই-তৃতীয়াংশ জায়গা দখল করেছে। নির্মাণ সামগ্রীর জড়ো করে রাখার কারনে শহিদ মিনারের মর্যদা হারিয়েছে। । মেহেরপুরের বালিকা উচ্চ একাধিক শিক্ষক বলেন, ‘একাডেমি ভবন নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সদ্য সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ভগ্নিপতি আবদুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস। তাকে মাঠ পরিষ্কার রাখতে নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নিতে বলার ক্ষমতা আমার ছির না।’ তিনি স্বীকার করেন মাঠজুড়ে নির্মাণ সামগ্রীর কারণে অ্যাসেম্বলি বন্ধ ছিল। মেহেরপুরের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দীর্ঘদিন থেকে নির্মাণ সামগ্রী রাখায় শিক্ষর্থীদের শিক্ষার্থীরা চলাফেরাও করতে পারছে না মাঠে। গত ছয় মাস আগে স্কুলের ছয়তলাবিশিষ্ট একাডেমি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। নির্মাণ কাজের জন্য উপকরণ মাঠ জুড়ে রাখায় খেলাধুলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। এ অবস্থা আরও কয়েক বছর থাকবে বলে মনে করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ বিদ্যালয়ের ছয়তলা বিশিষ্ট একাডেমি ভবন নির্মাণ শুরু হয়েছে গত অর্থবছর। এ ভবন নির্মাণের ঠিকাদার দিনাজপুরের এম এমই অ্যান্ড এম বি সি’র লাইসেন্সে কাজ করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সাবেক ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল তার ভগ্নিপতি, মেহেরপুর জেলা আ.লীগ সহসভাপতি ও পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস তিন জন এখন মেহেরপুর জেলা একধিক মামলায় জেল বন্দি রয়েছে।তার জেলার স্বঘোষিত সবচেয়ে বেশি টাকার মালিক ও ‘মাস্তান’ ছিলেন।মেহেরপুর জেলা আ.লীগ সহসভাপতি বাবলু বিশ্বাস দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর পক্ষে নির্বাচনি সভায় প্রতিপক্ষ ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ‘এ জেলায় আমার চেয়ে বড় মাস্তান, আমার চেয়ে কার যন্ত্রপাতি ও বেশি টাকা নাই। আমি কাউকে ভয় করি না। আমার ইউনিয়নের চারটি কেন্দে বিরোধী পক্ষের কোনো ভোটার ও কোনো এজেন্টকে দেখতে চাই না।’ স্বঘোষিত মাস্তান এ ঠিকেদারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস করেন না। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, চার শতাধিক ছাত্রী রয়েছে বিদ্যালয়টিতে। তাদের কোলাহল ও হইহুল্লোড়ে মুখোর থাকত মেহেরপুর সরকরী বালিক বিদ্যালয় ও মেহেরপুর সরকরী বালিকা বিদ্যালয়ে দুইটি
No comments: