বাবুয়া বোস অভিনেতা ও শব্দ সৈনিক এবং বীর মুক্তিযৗদ্

স্বাধীন বাংলা বেতারের জল্লাদের দরবারের অভিনেতা বাবুয়া বোসের মেহেরপুরে শ্মশাণ ঘাটে দাহ তার সর্ম্পুন হয়েছে। মেহেরপুরর প্রতিনিধি।সোমবার দুপুরে মেহেরপুর শহীদ ডাঃসামসুজ্জোহা পার্কে স্বাধীন বাংলা বেতারের জল্লাদের দরবার অনুষ্ঠানের অভিনেতা ও শব্দ সৈনিক এবং বীর মুক্তিযৗদ্ধা প্রসেনজিত বোস বাবুয়া (৮০)কে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হেমায়েত হোসেন রাষ্টের পক্ষে জাতীয় পতাকা দিয়ে আচ্ছাদিত করে দেয়া হয় এ অকুতোভয় সৈনিকের মরদেহ মেহেরপুর সদর থানার ওসি তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌখস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন,এ সময় সেখানে বিউগলের করুন সুর বেজে ওঠে। পরে সেখানে ১ মিনিটি নিরবতা পালন করা হয়। মেহেরপুর শহরের উপকন্ঠে বামুনপাড়া শ্মশাণ ঘাটে দাহ তার সর্ম্পুন হয়েছে।সোমবার সকালে মেহেরপুর শহীদ ডাঃসামসুজ্জোহা পার্কে তার কফিনে একে একে জানানো হয় শ্রদ্ধাঞ্জলি পুষ্পমাল্য অর্পন করেন, মেহেরপুরের সমস্থ রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন,সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা কর্মিগন।যে সব সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পন করেন তারা হলেন প্রথমে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হেমায়েত হোসেন,মেহেরপুর জেলা মুক্তিযৌদ্ধা কমান্ডার বশির আহমেদ, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মিয়াজান আলী,মেহেরপুর জেলা বিএপির পক্ষে সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন,মেহেরপুর -১ জাতীয় সংসদ সদস্য এর পক্ষে আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস,উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষে আলহাজ্ব গোলাম রসুল,মেহেরপুর জেলা ন্যাপের পক্ষে হাফিজুর রহমান,মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান,মেহেরপুর সাংবাদিকের পক্ষে তুহিন অরন্য ও এম এ হাসান সুমন,মেহেপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম,মেহেরপুর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক বারেকুল ইসলাম লিজন,মেহেরপুর পৌর কলেজের অধ্যক্ষ একরামূল আয়ীম, মেহেরপুর থিয়েটারে কোষাধ্য আনোয়ারুল হাসান,জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষে সভাপতি ডা: রমেশ চন্দ্র নাখ, মেহেরপুর হিন্দও, বৌদ্ধ, হিন্দু পরিষদের পক্ষে মেহেরপুর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি পল্লব ভট্রাচার্য তরুণ,হালদার পাড়া মন্দিরে পক্ষে অনন্ত কুমার হালদার, প্রজম্ম একাত্তরের পক্ষে মাহবুবুল হক মন্টু।উল্লেখ্য,স্বাধীন বাংলা বেতারের জল্লাদের দরবারের যাত্রার অভিনেতা ও বীর মুক্তিযৗদ্ধা প্রসেনজিত বোস

বাবুয়া (৮০)সোমবার ভোর তিনটার দিকে মেহেরপুর বড়বাজার তাঁর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারনে পরলোকগোমন করেন।রনাঙ্গণের সৈনিকদের উৎসাহ দিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সাথে যুক্ত হন। প্রখ্যাত নাট্যকার কল্যাণ মিত্রের অনুরোধে তার লেখা ‘জল্লাদের দরবার’ নাটকে তিনি সৈয়দ হাসান ইমাম, সুমিতা দেবী সহ অনেক গুনি শিল্পির সাথে অভিনয় করেন। সাংবাদিক মার্ক টালি তার বাড়িতে আতিথেয়তা গ্রহণ করে মেহেরপুরের বিধ্বস্ত অবস্থার খবর সংগ্রহ করেছেন। সম্প্রতি ৭ মে ২০১৪ বুধবার সন্ধায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু স্বাধীনতার স্বীকৃতি স্বরুপ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার তুলে দেন। মেহেরপুর শহরের উপকন্ঠে বামুনপাড়া শ্মশাণ ঘাটে বীর মুক্তিযৗদ্ধা প্রসেনজিত বোস বাবুয়া দাহ তার সর্ম্পুন হয়েছে। মেহেরপুর -১ জাতীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ফরহাদ হোসেন বলেন জাতির অন্যতম শ্রেষ্ট সন্তানকে হারিয়েছে মেহেরপুর বাসী তাকে মনে রাখবে। মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মিয়াজান আলী বলেন তিনি মেহেরপুর মানুষের জন্য তার সমস্থ ত্যাগ স্বীকার করে চলে গেলেন যা আমাদের চলার পথে পাথেয় হবে। বাবুয়া বোসের ছোট ভাই অভিজিৎ বোস (মানু) বলেন,তিনি জল্লাদের দরবার নাটকে অভিনয় করতেন, কোথায় তিনি রেকর্ড করতেন তা আমরা বুঝতে পারতামনা। তিনি বলেন সমাজের অন্যায় এবং অবিচারগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরতেন তিনি ।মানুষকে সংগঠিত করতে তার অনেক ভূমিকা ছিল। কিন্তু তার কোনো মুল্যায়ন হয়নি। মেহেরপুর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা ওদায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড.পল্লব ভট্রাচার্য তরুণ বলেন,জল্লাদের দরবার’ নাটক ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। বেচে থাকা অবস্থায় তিনি কোন মূল্যায়ন পান নি মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি মাসুদ অরুন শ্রদ্ধাঞ্জলির বক্তব্য বলেন, বাবুয়া বোস কাকা শুধু এক জন শব্দ সৈনিক ছিলেন তা নয় বরং তিনি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একজন মধ্যে দিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিতেন তিনি।তার জ্ঞান,বুদ্ধি মেহেরপুরে মানুষের মধ্যে দান করে গেছেন। । মেহেরপুর জেলা মুক্তিযৌদ্ধা কমান্ডার বশির আহমেদ বলেন শব্দ সৈনিক এবং বীর মুক্তিযৗদ্ধা প্রসেনজিত বোস বাবুয়া মুক্তিযৌদ্ধাদের অভিভাবক ছিলেন আমারা এখন তার শূন্য বুঝতে পারবো। ,মেহেরপুর পৌর কলেজের অধ্যক্ষ একরামূল আয়ীম বলেন স্বাধীন বাংলা বেতারের জল্লাদের দরবার অনুষ্ঠানের অভিনেতা ও শব্দ সৈনিক এবং বীর মুক্তিযৗদ্ধা প্রসেনজিত বোস বাবুয়া তার বন্ধুকে দিয়ে ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মেহেরপুর পৌর কলেজের একটি প্রসিদ্ধ লাইব্রেরী ভবন তৈরি করে দিয়ে তাই নয় আমাদের অভিভাবক ছিলেন তিনি