বৃটিশ আমলে ভারতের বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত ও মেহেরপুরের মুন্সি জমিরুদ্দীনের সঙ্গে তর্কযুদ্ধে নদীয়৷ জেলার রানাঘাটের প্রসিদ্ধপাদ্রী মুখোমুখি না হয়ে ভয়ে রণে ভঙ্গ দেন ( চুরানব্বই পর্ব )

বৃটিশ আমলে ভারতের বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত ও মেহেরপুরের মুন্সি জমিরুদ্দীনের সঙ্গে তর্কযুদ্ধে নদীয়৷ জেলার রানাঘাটের প্রসিদ্ধপাদ্রী মুখোমুখি না হয়ে ভয়ে রণে ভঙ্গ দেন ( চুরানব্বই পর্ব ) নদীয়৷ জেলার রানাঘাটের প্রসিদ্ধপাদ্রী মনরো সাহেবের সঙ্গে তর্কযুদ্ধের জন্য তেরো শত চার বাংলা সনে মুন্সি জমিরুদ্দীন মুখোমুখি না হয়ে রণে ভঙ্গ দেন।পরিশেষে রানাঘাটে বাহাসের পরিবর্তে এক সাধারণ ধর্মসভা অনুষ্ঠিত হয়। কবি মোজান্মেল হক “সুধাকর পত্রিকায় এই সভার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, তাতে তিনি মুন্সী

জমিরদ্দীন সম্পর্কে উল্লেখ করেন ইনি খীষ্টানী কৃহকে পড়িয়া আঠারো শত সাতাশি বাপ্তাইজিত হন । কলিকাতা ও এলাহাবাদের সেন্ট পাউলস্থ ডিভিণিটা কলেজে রীতিমত অধ্যয়ন করিয়া, শেষে পরীক্ষোত্তীর্ণ হইয়া পাঠকরত্ব উপাধি লাত করিয়। মিশনারী প্রচারকের পদ গ্রহণ করেন। ইনি হিন্দু ও মুসলমান ধর্মের বিরুদ্ধে লেখনী ধারণ করিয়া, এবং প্রচার করিয়া অনেক হিন্দু মুসলমানকে খ্রীষ্টাণধর্ম দীক্ষিত করিয়াছিলেন। কিন্ত খোদার কি _মর্জী। তিনি খ্রীস্টান ধর্ম অসরতা উপলব্ধি করিয়া, ইসলামে প্রত্যা- _ বর্তন করিয়াছেন । এক্ষণে তিনি ইসলাম প্রচারকের পদ গ্হণ করিয়াছেন। যাহা হউক, প্রথমতঃ মুন্শী শেখ জমিরুদ্দীন সাহেব ইসলাম সমাজের প্রথানুযায়ী হামদ ও নায়াতের বাদে ইসলামের মাহাত্ম্য কীর্তন করেন। ইহার তেজোপূর্ণ হৃদয়গ্রাহী উচচ বক্তৃতা অতীব প্রশংসনীয়। শ্রবণে বিবিধভাবে হৃদয় উচ্ছ্বসিত হইয়৷ উঠে। ইনি অনর্গল তিন ঘন্ট। বক্তৃত। করার পর, মুসলমান সমাজের শ্রোতাগণকে যে প্রকার ধর্মভাবে বিভোর হইতে দেখিয়াছি//সুত্র:বাংলা একাডেমী,, গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।