বৃটিশ আমলে ভারতের বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত ও মেহেরপুরের মুন্সি জমিরুদ্দীনের নদীয়া সাহিত্য-সভা থেকে “বিদ্যাবিনোদ' ও “কাব্যনিধি' উপাধি পান (নিরানব্বই পর্ব )

বৃটিশ আমলে ভারতের বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত ও মেহেরপুরের মুন্সি জমিরুদ্দীনের নদীয়া সাহিত্য-সভা থেকে “বিদ্যাবিনোদ' ও “কাব্যনিধি' উপাধি পান (নিরানব্বই পর্ব ) জমিরুদ্দীন এলাহাবাদ সেন্ট পল ডিভিনিটি কলেজ থেকে শেষ পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীণ হয়ে বা 'পাঠকরত্ব' উপাধি লাভ করেন। তিনি “নদীয়া সাহিত্য-সভা থেকে “বিদ্যাবিনোদ' ও “কাব্যনিধি' উপাধি পান। ফুরফুরা শরীফের পীর মুহম্মদ আবুবকর তাকে তেরো শত বত্রিশ সালের দোষরা শ্রাবণ “পাদ্রী মৌলান । (রেভারেন্ড মওলানা) উপাধি প্রদান করেন। ইংরেজ সরকার

'রাজসেবা'র পুরস্কার হিসেবে চৌদ্দ জানুয়ারী উনিশ শত পনোরো তারিখে নদীয়ার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট থেকে প্রশংসাপত্র লাভ করেন। উনিশ শত ত্রিশ সালে রাজশাহী জেলায় আইন অমান্য আন্দোলনের বিরোধিতা করায় বাংলার গর্ভনর তাঁকে উনিশ শত একত্রিশ সালে সাত ই মার্চ বিশেষ প্রশংসাপত্র প্রদান করেন কৃমুদনাথ মল্লিকের 'নদীরা-কাহিনী' ( তেরো শত সতেরো সালে ) গ্রন্থে লেখক হিসেবে তার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি স্থানলাভ করেছে । যোগীন্দ্রনাথ সমাদ্দার ও রাখালরাজ রায় সম্পাদিত তেরো শত বাইশ সালের "সাহিত্য পঞ্জিকা'য় (এগারো পৌষ তোরো শত তেইশ ) জমিরুদ্দীনের নাম ও গ্রন্থতালিক। পংকলিত হয়েছে। জীবনের ধর্ম, সমাজ ও সংপ্রদায়ের সেবায় আজীবন নিয়োজিত থাকলেও জীবিতাবস্থায় বা মরণোততরকালেও যোগ্য কোনো সন্মান বা স্বীকৃতি তার ভাগ্যে জোটে নি। জাতীয় বা স্থানীয় পর্যায়ে উল্লেখ করার মতো তেমন কোনে স্বীকৃতি-সন্নান তিনি লাভ করেন নি। এমন কি স্থানীয়ভাবে মেহেরপুর, গাংনী ব৷ গাড়াডোবে কোনে সড়ক ব৷ প্রতিষ্ঠানের নামকরণও তাঁর নামানুসারে হয় নি। ধর্মীয় বা সামাজিক ব্যক্তিত্ব কিংবা লেখক হিসেবেও তাঁকে স্মরণ কর! হয় নি, চেষ্টা হয়নি তার মূল্যায়নের এই উৎদগীঁকৃতি কর্মীপুরুষ তীর জীবদ্দশায় যে-টুক্‌ স্বীকৃতি বা সন্মান অর্জন করেছেন তা তাঁর অবদান ও সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে নিতান্তই অকিঞ্চিতংকর। সুত্র:বাংলা একাডেমী,, গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।