Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » পাকিস্তান আমলে অবৈতনিক ম্যজিষ্ট্রেট,শিক্ষাবিদ সাবদার আলী ,মেহেরপুর কে সমৃদ্ধ করেছিল কিন্তু ”৭১”মুক্তিযৌদ্ধে রাজাকার,আলবদরের দোষর হিসেবে কলঙ্কিত (তেইশ পর্ব)




উনিশ শত তেতাল্লিশ সাল থেকে উনিশ শত সাতচল্লিশ সালের দেশ বিভক্তির পূর্ব প্রর্যন্ত মেহেরপুর কোর্টে অবৈতনিক ম্যজিষ্ট্রেট হিসাবে সাবদার আলী দায়িত্ব পালন করেন। উনিশ শত চুয়াল্লিশ সালে তৎকালিন বেঙ্গল গভর্মেন্টের কাছে শ্রেষ্ঠ অবৈতনিক ম্যজিষ্ট্রেট হিসাবে স্বর্ণপদক পুরস্কারে ভূষিত হন। পাকিস্থান সৃষ্টির পর উনিশ শত উনষাট সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। উনিশ শত সাতচল্লিশ সালে দেশ বিভক্তির পর পর মেহেরপুরের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটি অচল অবস্থা চলতে থাকে। উনিশ শত পঞ্চাশ সালের মে মাসে সাবদার আলী মেহেরপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহন করেন। হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার পেছনে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। অপর দিকে তৎকালীন রিপন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। উনিশ শত আষট্টি সালে মেহেরপুর হাইস্কুল সরকারি করনের পূর্ব পর্যন্ত তিনি এখানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। হাইস্কুল সরকারি করনের ফলে দরিদ্র ছাত্রদের অধ্যয়নের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ে কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল প্রতিষ্ঠা করেন। উনিশ শত সত্তর সালের প্রথম দিক পর্যন্ত তিনি এই হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষকতা জীবনে প্রবেশের পূর্বে সালে তিনি মেহেরপুর মুসলিম পৌরফান্ড গঠন করেন। মুসলিম গরিব মেধাবি ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হতো ঐ ফান্ড থেকে। সাবদার আলী একজন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন কৃতি শিক্ষাবিদই ছিলেনা। তিনি একজন রাজনীতিবিদও। উনিশ শত সাতচল্লিশ সাল থেকে উনিশ শত একাত্তর সাল পর্যন্ত তিনি মুসলিম লীগের মেহেরপুর জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এবং পাকিস্থান মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি উনিশ শত চুয়ান্ন সালের নির্বাচনে মেহেরপুর আসনে মুসলিম লীগের প্রার্থী হয়ে অল্প ভোটের ব্যবধারে পরাজিত হন। উনিশ শত একাত্তর সালে মেহেরপুর মুক্তিযৌদ্ধার বিপক্ষে মেহেরপুর মহকুমার শান্তি বাহিনীর সভাপতি হিসেবে নয় মাস দায়িত্ব পালন করেছে। মেহেরপুরের মুক্তিকামী মানুষ কে খুন ধর্ষন, লুটপাটের তার নেতৃত্বে হয়েছিল।যার ফলে পাকিস্তান কসাই পাকবাহিনী,রাজাকার,আলবদর ও আলসামস বাহীনির দোষর হিসেবে কলঙ্কিত হযেছে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও মুসলিম লীগ নেতা। উনিশ শত সাত সালে গরিবপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। মেহেরপুর জেলার শিক্ষা উন্নয়নে ছাবদার আলী ছিলেন অবিচল। তিনি মেহেরপুরে বেশ কয়েটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাতা করেন। এছাড়াও তিনি ম্যজিষ্ট্রেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শ্যমনগর হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণী প্রর্যন্তলেখাপাড়া করেন। পরে এন্ট্রাস পরীক্ষায় তিনটি বিষয়ে লেটার সহ উনিশ শত চব্বিশ সালে প্রথম বিভাগে কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। উনিশ শত আটাশ সালের দিকে তিনি কৃঞ্চনগর কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। উনিশ শত তেত্রিশ সালে বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনোনীত হন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ এবং এলএলবি শেষ বর্ষের ছাত্র থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী মারা গেলে তিনি সহিদা খাতুনকে ২য় বিবাহ করেন। পরে তিনি বুড়িপোতা গ্রামে স্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য নিজ গ্রাম ছেড়ে আসেন। এরপর শুরু হয় কর্ম জীবন। উনিশ শত তেরাশি সালের ত্অরিশক্টোবর তিনি ইন্তেকাল করেন। মেহেরপুর জেলা শহরে ছাবদার আলী স্মৃতি সংসদ এর প্রতিষ্ঠাতা করেন মেহেরপুর সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের সাকে প্রদান শিক্ষক আ,ক,ম, ঈসমাইল হোসেন ।তার উদ্যোগে মেহেরপুর জেলার কৃতি শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর পুরুস্কার বিতরন করে আসছে। মেহেরপুর পৌরসভা তার নামে একটি মার্কেট স্থাপন করেছেন।গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply