Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » বৃটিশ আমলে ভারতের বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত ও মেহেরপুরের মুন্সি জমিরুদ্দীনের স্বরচিত ”পূর্ণচন্দ্র কবিতা” (ছিয়ানব্বই পর্ব )




বৃটিশ আমলে ভারতের বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত ও মেহেরপুরের মুন্সি জমিরুদ্দীনের স্বরচিত ”পূর্ণচন্দ্র কবিতা” (ছিয়ানব্বই পর্ব ) পূর্ণচন্দ্র -মুন্সী শেখ জমিরউদ্দিন,বৃটিশ আমলে ভারতের বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত।। পূর্ণচন্দ্র পূণিমার নিশি আজি কিবা মনোহর। হাসি হাসি পূর্ণশশী,নীল নভোভালে বাসি, তুষিতেছে কর দানে চকোর নিকর,

পূণিমার নিশি আজি কিবা মনোহর। পরেছে ধরণী ধনী কৌমুদী-বসন, চারুমুখ হাসিভরা, কান্তি কিবা মনোহরা, আনন্দে মাতিয়া করে চাঁদে সম্ভাষণ, ভাব ভরে মাতোয়ারা, কি সুখমিলন। নরনরঞ্জন শশী হেরিয়া আকাশে, স্বচ্ছে সরোবর জলে, আহা মরি কুতূহলে, কুমুদিনী কত সুখে বদন বিকাশে, অধরে ধরেনা হাসি মনের উল্লাসে। যেদিকে নেহারি, হেরি উজ্জ্বলতাময়। বৃক্ষপত্র ফলদলে, নদীর নির্ম্মল জলে, শ্রামল প্রান্তরে,নগ-শিরে, সুধাময় পড়েছে চাঁদের আভা, শোভা অতিশয়। বহিতেছে মন্দ মন্দ স্নিগন্ধ সমীরণ, পরিমল ধনেধনী, যৌবনে যেমতি ধনী, কতই গরবে আহা করে বিচরণ, পরবন হরি বল কে সুখী এমন? খেলিছে সরসী হোথা চাঁদেরে লইয়া, ক্ষণে রাখে ক্রোড়‘পরে, ক্ষণে পুন:বক্ষ ধরে, ক্ষণে হাসে চারুমুখ আদরে চুমিয়া, খেলিছে সরসী রঙ্গে চাঁদেরে লইয়া! তবু তব রূপশশি! নিষ্কলঙ্ক নয়, খুঁজিয়াছি চারিধার, দেখেছি জেনেছি সার, নিষ্কলঙ্ক বল ভবে কাহার হৃদয়? জাননা চাতুরী কিন্তু তুমি শশধর! এস যদি নেমে ভবে, শিক্ষা কত পাও তবে, কেমনে ঢাকিতে হয় কলঙ্ক দুস্তর, কেমনে কুরূপ হয় রূপ মনোহর। চিরদিন নহ তুমি পূর্ণ অবয়ব, কালি হবে দেহ ক্ষীণ, ক্রমে ক্রমে কান্তিহীন, কদিনের তরে বল এ ছার গৌরব? সময়ে বিলীন আহা হবে ভবে সব। তবে রে দাম্ভিক! কেন এত অহঙ্কার! বিদ্যা, যশ,মান ধন, সাধিবে কি প্রয়োজন? কদিনের তরে বল জগতে তোমার- প্রিয়তমা জারা আর কুমারী কুমার? চপলার ফ্রভা প্রায় সব সুনিশ্চয় আছে দু-দিনের তরে, যাবে দু-দিনের পরে, আমার বলিতে ভবে কিছুই ত নয়, বিনা সেই সুপবিত্র ধর্ম্ম সুধাময়!! তর্ তর্ বেগে শশী যেতেছে চলিয়া, যেন কোন নৃপবর, সঙ্গে বহ অনুচর, বীরদর্পে যায় চলিল আরতি দলিয়া, সোনার কমল কিম্বা যেতেছে ভাসিয়া। মম সুখদিন ফিরে আসিবে কি আর ঝণণীর কোলে থেকে,যবে চাঁদ ডেকে ডেকে, দিতাম বাড়ায়ে হাত আনন্দে অপার, কোথা সে সময়! কোথা জননী আমার!! জলদ সহসা দেখি, চাঁদে আবরিল, কোথা সে সুষমা আর? চারিদিক অন্ধকার। যেন কোন নিশাচর শশীরে গ্রাসিল, কৌমুদী বিরহ তাই প্রাণ তেরাগিল! দেখিয়া চাঁদের দশা ভাবিলাম মনে, মরণ আসিবে কবে; কোনদিন যেতে হবে, ত্যজিতে হইবে সব, পুত্র পরিজনে; সময় থাকিতে ধর ইসলামে যতনে। সুত্র:বাংলা একাডেমী,, গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply