১৮৫৯ সালে থেকে গাংনী উপজেলার ভাটপাড়ায় নীলকুঠি ইঁট, চুন-সুরকি দ্বারা নির্মাণ ব্রিটিশ বেনিয়াদের পাপাচার অভিশপ্ত হয়ে দাড়িয়ে আছে নীলকুঠি ( ছেচল্লিশ পর্ব) আঠারো শত উনষাট সালে থেকে গাংনী উপজেলার ভাটপাড়ায় নীলকুঠি ইঁট, চুন-সুরকি দ্বারা নির্মাণ ব্রিটিশ বেনিয়াদের পাপাচার অভিশপ্ত হয়ে দাড়িয়ে আছে নীলকুঠি ( ছেচল্লিশ পর্ব)
অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের ভাটপাড়ায় অবস্থিত নীলকুঠি। গাংনী উপজেলা সদর থেকে সড়ক পথে দুরত্ব ৭ কিমি:। বাস, স্থানীয় যান টেম্পু/লছিমন/করিমন এর সাহায্যে কুড়ি মিনিটে ভাটপাড়া নীলকুঠিতে পৌঁছানো যায়। মেহেরপুর জেলা শাসন ডিসি ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা করেন। ভাটপাড়া নীলকুঠিকে ঘিরে তৈরি ডিসি ইকোপার্কে আছে কৃত্রিম লেক, বিভি প্রাণীর ভার্য,র্য ঝর্ণা খেলাধুলার সরঞ্জাম এবং ফুলের বাগান। আঠারো শত উনষাট সালে স্থাপিত ধ্বংস প্রায় এই নীলকুঠিটি ইঁট, চুন-সুরকি দ্বারা নির্মাণ করা হয়। এর ছাদ লোহার বীম ও ইটের টালি দিয়ে তৈরী। এই কুঠির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কাজলা নদী। গাংনী উপজেলার উত্তর প্রান্ত ঘেঁষে ঐতিহাসিক কাজলা নদীর তীরে অবস্থিত জাতীয় জীবনের ও সভ্যতার স্মারক ভাটপাড়া নীলকুঠি। যা আজও ব্রিটিশ বেনিয়াদের নির্যাতনের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গাংনী উপজেলার অন্যতম উলেস্নখযোগ্য নীলকুঠি গাংনী থানার সাহারবাটি ইউনিয়নের ভাটপাড়ায় অবস্থিত। সাহেবদের প্রমোদ ঘর ও শয়ন রুম সংবলিত দ্বিতল ভবনটি জীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। কাঁচারি ঘর, জেলখানা, মৃত্যুকুপ ও ঘোড়ার ঘর বিলুপ্ত প্রায়। দামি মার্বেল পাথর আর গুপ্তধনের আশায় একসময় ভেঙে ফেলা হয়। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বর্তমানে সরকারের রাজস্ব বিভাগের ওপর ন্যাস্ত। এরই মধ্যে ভবনের ইট ও পাথর চুরি হয়ে গেছে। দামি ও ফলদ বৃক্ষ হয়েছে নিধন। বাকি অংশে গড়ে উঠেছে আবাসন প্রকল্প। ধীরে ধীরে বেদখল হয়ে যাচ্ছে জায়গাজমি। । কুঠিভবন ও নীলগাছ আজও স্মরণ করিয়ে দেয় নীলকরদের অত্যাচার ও নির্যাতনের কথা। প্রচলিত আছে গভীর রাতে এখানে এসে দাঁড়ালে শোনা যায় নর্তকীদের নূপুরের আওয়াজ ও চাষিদের বুকফাটা আর্তনাদ। কালের সাক্ষী ভাটপাড়া কুঠিবাড়িতে এখনও অনেক পর্যটক এলেও ধ্বংসাবশেষ দেখে হতাশ হয়েই ফিরতে হয়। এলাকাবাসীর দাবি পরাধীনতার শিকলে বন্দি থাকাকালীন শোষক এবং শাসকদের নির্যাতনের নির্মম স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক ভাটপাড়া নীলকুঠি সংরক্ষণে হতে পারে এক অনিন্দ্য সুন্দর দর্শনীয় স্থান। গড়ে তোলা যেতে পারে একটি পর্যটন কেন্দ্র। এ ব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী। ইতিহাসের এমনি এক পথে জরাজীর্ণ অবস্থায় কালের সাক্ষি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মেহেরপুরে গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া নীলকুঠি। জানা যায়, মেহেরপুর অঞ্চলে ক্যারল ব্লুম নামে এক ইংরেজ ব্যক্তি নীলকুঠি স্থাপন করেন। নীলচাষ অত্যধিক লাভজনক হওয়ায় সতোরো শত ছিয়ানব্বই সালে এখানে নীলচাষ শুরু হয়। এ সময় বিখ্যাত বর্গী দস্যু নেতা রঘুনাথ ঘোষালির সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে গোয়ালা চৌধুরী নিহত হলে মেহেরপুর অঞ্চল রানী ভবানীর জমিদারিভুক্ত হয়। রানী ভবানী নিহত হলে কাসিম বাজার অঞ্চলটি ক্রয় করেন হরিনাথ কুমার নন্দী। পরে হাত বদল হয়ে গোটা অঞ্চলটি মথুরানাথ মুখার্জির জমিদারিভুক্ত হয়। একসময় মথুরানাথ মুখার্জির সঙ্গে কুখ্যাত নীলকর জেমস হিলের বিবাদ বাঁধে। তাঁর ছেলে চন্দ্রমোহন বৃহৎ অঙ্কের টাকা নজরানা নিয়ে মেহেরপুরকে জেমস হিলের হাতে তুলে দেয়। চন্দ্র মোহনের ছেলে মহেশ মুখার্জি জেমস হিলের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ইতিহাসে ইনিই নীলদর্পণ নাটকে গুপে দেওয়ান নামে পরিচিত। আঠারো শত আঠারো সাল থেকে আঠারো শত কুড়ি সালের মধ্যবর্তী সময়ে মেহেরপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত হয়। তন্মধ্যে গাংনীর ভাটপাড়া নীলকুঠি অন্যতম। নীল গাছ পচা জল জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হতো নীল রঙ। গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর। অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গাংনী উপজেলার গাংনী থানার সাহারবাটি ইউনিয়নের ভাটপাড়ায় অবস্থিত নীলকুঠি। গাংনী উপজেলা সদর থেকে সড়ক পথে দুরত্ব ৭ কিমি:। বাস, স্থানীয় যান টেম্পু/লছিমন/করিমন এর সাহায্যে ২০ মিনিটে ভাটপাড়া নীলকুঠিতে পৌঁছানো যায়। ১৮৫৯ সালে স্থাপিত ধ্বংস প্রায় এই নীলকুঠিটি ইঁট, চুন-সুরকি দ্বারা নির্মাণ করা হয়। এর ছাদ লোহার বীম ও ইটের টালি দিয়ে তৈরী। এই কুঠির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কাজলা নদী। গাংনী উপজেলার উত্তর প্রান্ত ঘেঁষে ঐতিহাসিক কাজলা নদীর তীরে অবস্থিত জাতীয় জীবনের ও সভ্যতার স্মারক ভাটপাড়া নীলকুঠি। যা আজও ব্রিটিশ বেনিয়াদের নির্যাতনের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অযত্ন অবহেলায় এবং সংস্কারের অভাবে কুঠিবাড়িটি ধ্বংসের পথে ভাটপাড়া নীলকুঠিটি কাজলা নদীর তীরে ২৩ একর জমির ওপর অবস্থিত। সাহেবদের প্রমোদ ঘর ও শয়ন রুম সংবলিত দ্বিতল ভবনটি জীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। কাছারি ঘর, জেলখানা, মৃত্যুকুপ ও ঘোড়ার ঘর বিলুপ্ত প্রায়। দামি মার্বেল পাথর আর গুপ্তধনের আশায় একসময় ভেঙে ফেলা হয়। এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব বিভাগের ওপর ন্যাস্ত। এরই মধ্যে ভবনের ইট ও পাথর চুরি হয়ে গেছে। দামি ও ফলদ বৃক্ষ হয়েছে নিধন। বাকি অংশে গড়ে উঠেছে আবাসন প্রকল্প। ধীরে ধীরে বেদখল হয়ে যাচ্ছে জায়গাজমি। গোটা কুঠি এলাকা বর্তমানে গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। কুঠিভবন ও নীলগাছ আজও স্মরণ করিয়ে দেয় নীলকরদের অত্যাচার ও নির্যাতনের কথা। স্থানীয় জনশ্রুতি, গভীর রাতে এখানে এসে দাঁড়ালে আজও নাকি শোনা যায় নর্তকীদের নূপুরের আওয়াজ ও চাষিদের বুকফাটা আর্তনাদ। কালের সাক্ষী ভাটপাড়া কুঠিবাড়িতে এখনও অনেক পর্যটক এলেও ধ্বংসাবশেষ দেখে হতাশ হয়েই ফিরতে হয়। ৩) ইতিহাসের এমনি এক পথে জরাজীর্ণ অবস্থায় কালের সাক্ষি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মেহেরপুরে গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া নীলকুঠি। জানা যায়, মেহেরপুর অঞ্চলে ১৭৭৮ সালে ক্যারল ব্লুম নামে এক ইংরেজ ব্যক্তি নীলকুঠি স্থাপন করেন। নীলচাষ অত্যধিক লাভজনক হওয়ায় ১৭৯৬ সালে এখানে নীলচাষ শুরু হয়। এ সময় বিখ্যাত বর্গী দস্যু নেতা রঘুনাথ ঘোষালির সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে গোয়ালা চৌধুরী নিহত হলে মেহেরপুর অঞ্চল রানী ভবানীর জমিদারিভুক্ত হয়। রানী ভবানী নিহত হলে কাসিম বাজার অঞ্চলটি ক্রয় করেন হরিনাথ কুমার নন্দী। পরে হাত বদল হয়ে গোটা অঞ্চলটি মথুরানাথ মুখার্জির জমিদারিভুক্ত হয়। একসময় মথুরানাথ মুখার্জির সঙ্গে কুখ্যাত নীলকর জেমস হিলের বিবাদ বাঁধে। তাঁর ছেলে চন্দ্রমোহন বৃহৎ অঙ্কের টাকা নজরানা নিয়ে মেহেরপুরকে জেমস হিলের হাতে তুলে দেয়। চন্দ্র মোহনের ছেলে মহেশ মুখার্জি জেমস হিলের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ইতিহাসে ইনিই নীলদর্পণ নাটকে গুপে দেওয়ান নামে পরিচিত। ১৮১৮ সাল থেকে ১৮২০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে মেহেরপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত হয়। তন্মধ্যে গাংনীর ভাটপাড়া নীলকুঠি অন্যতম। নীল গাছ পচা জল জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হতো নীল রঙ। এক বিঘা জমিতে আড়াই থেকে তিন কেজি নীল উৎপন্ন হতো, যা উৎপাদন করতে ব্যয়Slider
দেশ
মেহেরপুর জেলা খবর
মেহেরপুর সদর উপজেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
যাবতীয়
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Home
»
Education
»
English News
»
others
»
world
» ১৮৫৯ সালে থেকে গাংনী উপজেলার ভাটপাড়ায় নীলকুঠি ইঁট, চুন-সুরকি দ্বারা নির্মাণ ব্রিটিশ বেনিয়াদের পাপাচার অভিশপ্ত হয়ে দাড়িয়ে আছে নীলকুঠি ( ছেচল্লিশ পর্ব)
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: