বৃটিশ আমলে ভারতের বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত ও মেহেরপুরের মুন্সি জমিরুদ্দীনের স্বরচিত [ পুথিতে তাঁর জন্মভৃমি গাড়াডোব গ্রামের নাম] (আটানব্বই পর্ব )

বৃটিশ আমলে ভারতের বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত ও মেহেরপুরের মুন্সি জমিরুদ্দীনের স্বরচিত [ পুথিতে তাঁর জন্মভৃমি গাড়াডোব গ্রামের নাম] (আটানব্বই পর্ব ) ভারতের নদীয়া জেলা মেহেরপুর মহকুমার গাড়াডোব “আখলাকে জমিরিয়া ও রদ্দে নাছারা' পুথিতে তাঁর জন্মভৃমি গাড়াডোব গ্রামের নাম 'গাও এক গাড়াডোব-বাহাদরপুর ) নদীয়। জেলার বিচে আছয়ে মশহুর |)" এই গ্রানের পরিচিতি দিতৈ গিয়ে জমিরদ্দীন লিখেছেন পাঠান রাজত্বকালে হজরত বাহাদুর শাহ নামক জনৈক দরবেশ এখালে 'আসিয়! বাসস্থান নির্ণমান করেন। তাহারই নাম 'এনুসারে বাহাদুরপূর | নদীরা ভেলার আরও ২/৩ টি বাহাদুরপূর গ্রাম আছে, সেই সমস্ত গ্রাম হইতে পুথক করিবার ভান্য জমিদারর অত্র বাহাদূরপুরের আাগে গাড়াডোব বাইয়া দিয়াছেন। গাঁড়া, মানে ছোট, ডোঁব মানে ডোবা বা পুস্কুরিনী। এইজন্যই বোধহয় গাঁড়াভোব শব্দ বাহাদুরপুরের আগে বসাহিয়া থাকিবেন ।পরম দয়ালু আল্লাহতালার নামে আরম্ভ করিতেছি ৷ আমার নাম শেখ মোহাম্মদ জমিরুদ্দীন। বাঙলা বারো শত সাত্তার সালের পনোরোই মাঘ সোমবার তারিখে, জেলা নদীয়ার অন্তর্গত গাড়াডোব - বাহাদুরপুর গ্রামে আমার জন্ম হয় । আমার পিতার নাম শেখ আমিরুদ্দীন। তিনি একজন গোঁড়া মুসলমান ছিলেন এবং মুসলমান ধর্ম্মের নিয়মানুসারে যাবতীয় ক্রিয়া কলাপ করিতে কখনও কুণ্ঠিত হইতেন না। আমার পিতা আমাকে মুসলমান ধৰ্ম্মে দৃঢ় বিশ্বাসী করণার্থে আমার পাঁচ বৎসর বয়ঃক্রম কালে আমাকে একটা মতবথানায় ভর্তি করিয়া দেন। আমি মক্তবথানাতে কল্পেক বৎসর অতি যত্ন ও পরিশ্রম করিয়া পবিত্র মুসলমান ধৰ্ম্মে দৃঢ় বিশ্বাসী হইয়া, রোজা নমাজ ইত্যাদি কার্যা করিতে আরম্ভ করি। তাহার পর আমার পিতা বাঙ্গালা ভাষা শিক্ষা করণার্থে আমাকে বঙ্গ বিদ্যালয়ে প্রেরণ করেন। সুত্র:বাংলা একাডেমী,, গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।