Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মেহেরপুরে ১৯৬২সালে একটি পাক্ষিক পত্রিকা প্রকাশিতমেহেরপুর জেলার ইতিহাস-(এগারো পর্ব)




মেহেরপুরে ১৯৬২সালে একটি পাক্ষিক পত্রিকা প্রকাশিতমেহেরপুর জেলার ইতিহাস-(এগারো পর্ব) উনিশ শত বাষট্টি সালে সীমান্ত নামে একটি পাক্ষিক পত্রিকা প্রকাশিত মেহেরপুর জেলার ইতিহাস-(এগারো পর্ব) উনিশ শত বাষট্টি সালে মেহেরপুর থানা কাউন্সিলের উদ্যোগে সীমান্ত নামে একটি পাক্ষিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। সীমান্ত পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন মফিজুর রহমান।মেহেরপুর বড়বাজারের এডলিক প্রিন্টিং প্রেস থেকে পত্রিকাটি চার বছর নিয়মিত প্রকাশিত হয়।মেহেরপুর সদর উপজেলা কুতুবপুরের জনৈক শিল্পী নাসিরুদ্দিন ‘আম কাঁঠাল লিচুতে ভরপুর, তারই নাম মেহেরপুর’- এই কথাগুলো লিখে পত্রিকাটির প্রচ্ছদ এঁকে দিয়েছিলেন। উনিশ শত সাতচল্লিশ থেকে ষাট সাল পর্যন্ত মেহেরপুরে কোনপত্র-পত্রিকা সাহিত্য প্রকাশ হয়েছিল কিনা তার সঠিক তথ্য জানা যায় না । উনিশ শত বাষট্টি সালের জুলাই মাসে মেহেরপুর কলেজ প্রতিষ্ঠা হলে মেহেরপুরে সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চায় উদ্দীপনার সৃষ্টি হয় । মেহেরপুর কলেজ এবং মেহেরপুর মাল্টিমিডিয়া মডেল হাইস্কুল (বর্তমানে মেহেরপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়)সে সময়সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয় ।মেহেরপুরের তরুণ সম্প্রদায় এসময় সাহিত্যচর্চায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে । নাসিরউদ্দিন মীরু, সাহাবাজ উদ্দিন লিজ্জু, কামরুল হাসান হীরক, ফরহাদ খান, আনসার-উল-হক, কামাল উদ্দিনসহ অনেকেই সক্রিয়ভাবে সংগঠন ও সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চায় অবদান রাখেন। সে সময় তিনি মেহেরপুরের লোককাহিনী ওপ্রবাদ-প্রবচন সংগ্রহ করেন।তাকে সক্রিয়ভাবে সহযোহগিতা করেন কামরুল হাসান খান (হীরক)।পরবর্তীতে তিনি তার বিভিন্ন প্রকাশনায় সেগুলো ব্যবহার করছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সূর্যোদয় ঘটেছিল মেহেরপুরে । একাত্তর সালের সতেরোই এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যিনাথতলার আম্রকাননে গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে এর নাম দেয় মুজিবনগর । আর এখান থেকেই মেহেরপুরের নাম মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সাথে একসূত্রে গাঁথা হয়ে যায় । মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে । মুজিবনগরের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাঙালী জাতীকে মুক্তিযুদ্ধে উজ্জীবিত করে । উনিশ শত তেষট্টি সালে মেহেরপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় এ্যাডলিক প্রেস।মেহেরপুর বড়বাজারের মোজাম্মেলহক প্রেসটি প্রতিষ্ঠা করেন।এ্যাডলিক প্রেস মেহেরপুরের প্রকশনা জগতে যুগান্তকারী ভুমিকা পালন করেএবং এখনও তা অব্যাহত আছে।এই প্রেসটি চালু হলে মেহেরপুরেপত্র-পত্রিকা, লিটল ম্যাগাজিন, বই-পত্র প্রকাশে অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়। উনিশ শত উনসত্তর সালে মেহেরপুর বড়বাজার মেহেরপুর সরকারী বালিকা বিদ্যালয় পাড়ার নিবাসী ও পাকিস্থানে অগ্নিঝরা ছাত্রনেতা ও রাজনীতি ও সাংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন মীরুর নেতৃত্বে মেহেরপুরে প্রতিষ্ঠিত হয় মধুচক্র’সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন।মেহেরপুরের সমসাময়িক সাহিত্য-সাংস্কৃতি সমৃদ্ধিতে মধুচক্র বিশেষ ভূমিকা পালন করে। মধুচক্র প্রতিষ্ঠার শুরুতে এর সভাপতি ছিলেন মেহেরপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার আব্দুল বাকী এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিনমীরু। সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার উন্নয়নে ডাঃ আব্দুল বাকী খুব উৎসাহী ছিলেন। অন্যান্য সাহিত্যনুরাগী ব্যক্তিদের মধ্যে ডাঃজাফরউল্লাহ, ডাক্ত্র আবদুল্লা, মীর মোজাফ্ফর আলী, সফুরা রাজ্জাক, মফিুজুর রহমান, কামরুল হাসান খান (হীরক) প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ সম্পৃক্ত ছিলেন। উনিশ শত উনআশি সালের তেইশে মার্চ, মধুচক্র ‘প্রবাহ’ নামে একটিসাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাস বিষয়ক বুলেটিন প্রকাশ করে।প্রবাহের সম্পাদকমন্ডলীর মধ্যে ছিলেন মুহম্মদ আনছার-উল-হক, আলী ওবায়দুর রহমান ও মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন মীরু। মেহেরপুরের এ্যাডলিক প্রিন্টিং প্রেস থেকে প্রকাশিত প্রবাহের কয়েকটি মাত্র অনিয়মিত সংখ্যা প্রকাশিত হয়। অনিয়মিত এবং সাহিত্যবিষয়ক বুলেটিন হলেও পত্রিকাটি মেহেরপুরের বিদগ্ধমহলে খুবই সমাদৃত হয়েছিল।এই পত্রিকাটিতেই সর্বপ্রথম মেহেরপুরের ইতিহাস প্রসঙ্গে বৃটিশইন্ডিয়া কোম্পানীর নীলচাষের বিষয়টি সবিস্তারে বর্ণনা করাহয় । আমঝুপি নীলকুঠিতে নবাব সিরাজউদৌলা রবিরুদ্ধে লর্ডক্লাইভের কথিত ষড়যন্ত্রের বিষয়টি যে সঠিক নয় তা জনসমক্ষে প্রকাশিত হয় । এই পত্রিকাটিতে মেহেরপুরের হৃত প্রায় সাহিত্যের অনেক তথ্য প্রকাশিত হয় ।লেখক ও গবেষক-:: নাফিজ উদ্দিন খান মেহেরপুরের ছড়াকার, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সু-বক্তা হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলো। মেহেরপুরের কাঁসারী পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।তার বাবা: মরহুম শামসুদ্দিন খান, মা:মরহুমা নোসেমা খাতুন। গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply