মেহেরপুর সদর উপজেলার আমবুপি খ্রীস্টান স্কুলে পড়ার সময় জমিরুদীন প্রথম বাইবেল পাঠ করেন পরে খ্রীষ্টসমাজভুক্ত হইলেন( তিরাশি পর্ব)

প্রথম জীবনে ধর্ননিষ্ঠ পিতার প্রেরণ৷ ও আগ্রহে তিনি মুসলমাণ ধর্মে দৃঢ় বিশ্বাসী হইয়া, রোজা, নামা ইত্যাদি কায্যতো করিতে আরন্ত করেন। মেহেরপুর সদর উপজেলার আমবুপি খ্রীস্টান স্কুলে পড়ার সময় জমিরুদীন প্রথম বাইবেল পাঠকরেন এবং উক্ত স্কুলের শিক্ষক হেমচন্দ্র সরকারের সৌজন্যে “হজরতমোহাম্মদের বয়ান', 'ফোরকান', ইঞ্জিল কেতাব', 'বেগোনাহ নবী, ইসা ও মোহাম্মদ" প্রভৃতি 'খীষ্টানী পুস্তকে'র সঙ্গে পরিচিত হন। তীহাদিগের প্রচার শুনিয়া ও পৃস্তকাদি পড়িয়। ইসলামে সন্দেহ ও খৃষ্টানধর্ম বিশ্বাপ হয় এরপর কৃষ্ণনগর নর্মাল স্কুলে পড়তে গিয়ে খ্রীস্টান মিশনারীদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসেন | আমাকে বড় স্নহ করিতেন, আবার আমিও

তাহাদিগকে বড় ভক্তি করিতাম। পরে জনৈক মিসনারী আমাকে “বাইবেল” ও “ইসলাম দর্শন” ইত্যাদি কতকগুলি খ্রীষ্টধরম সংক্রান্ত পুস্তক প্রদান করেন; আমি তাহা অতি যত্ন সহকারে পাঠ করি। উক্ত পুস্তক যে আমি সমস্তই বুঝিতে পারিতাম এমন নহে । যে যে স্থানে বুঝিতে না প্রারিতায, সেই সেই স্থানে পের্সিল দিয়া চিহ্ন করিয়া রাখিতাম এবং সময় ও সুযোগ অনুপারে মিসনারীদিগের নিকট যাইয়া বুঝিয়া৷ লইতাম। আমি যখন উক্ত পুস্তকগুলি তীহাদের নিকট বুঝিয়া লইতে যাইতাম তখন তাহারা বড়ই সন্তষ্ট হইতেন ও অতি যত্বের সহিত বুঝাই দিতেন। যাহা হউক, উক্ত পুস্তকগুলি পাঠ করিতে করিতে আমার মনে মুসলমান ধর্মে অবিশ্বাস ও খুষ্টধর্মে বিশ্বাস জন্মে। এই প্রকারে খীর্টবর্মে আমি আসক্ত হই । আঠারো সাতাশি সালের পচিশে ডিসেম্বর বরিবার অপরাহ্ন পাদ্রী সলিভান সাহেব কর্তৃক খ্রীষ্টসমাজভুক্ত হইলাম । সুত্র:বাংলা একাডেমী?? গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।