Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » » মেহেরপুরে মাঠজুড়ে ধানে মাজরা পোকার ভয়াবহ আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।




মেহেরপুরে মাঠজুড়ে ধানে মাজরা পোকার ভয়াবহ আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। বোরো ধানে মাজরা পোকার আক্রমণে দিশাহারা মেহেরপুরের কৃষকরা। দফায় দফায় বালাইনাশক প্রয়োগ করেও মিলছে না প্রতিকার। কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে মেহেরপুরে উনিশ হাজার ৪ শত সাতাশ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর বেশি। কৃষকরা বলছেন, মাজরা পোকার ভয়াবহ আক্রমণে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন তারা। দফায় দফায় বালাইনাশক প্রয়োগ করেও পোকার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। পোকায় ধানের বাইল-শিষ কেটে দিয়ে খেত নষ্ট করে ফেলছে। পোকায় জমির প্রায় পচিশ শতাংশ ধান নষ্ট করে দিয়েছে। এ কারণে ফলন বিপর্যয় হবে এ মৌসুমে। তাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবার মাজরা পোকার আক্রমণের হার বেশি। দ্রুত পোকার দমন না করা হলে ভয়াবহ ফলন বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন কৃষকরা। কৃষক কাউসার আলী বলেন, ‘এবার বোরো ধান পোকায় শেষ করে দিল। লাভ তো দূরের কথা খাওয়ার ধানটাও জমি থেকে বাড়ি নিতে পারব কি না সন্দেহ আছে। কৃষি অফিসার আসবে আমাদের পরামর্শ দেবে এই বিষটা না ওই বিষটা দাও, তা হচ্ছে না। আমাদের যে কৃষি কর্মকর্তারা আছেন তাদের চোখেই দেখি না।’ কৃষক তোফাজ্জেল বলেন, ‘দোকান থেকে বিষ নিয়ে চার পয়সারও কাজ হচ্ছে না। বিষ দিতে দিতে হাঁপিয়ে গেলাম। এই প্রথম ধানে পাঁচ-ছয়বার বিষ দেওয়া লাগছে। ধানের অবস্থা একেবারে শেষ।’ আরেক কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এবার ধানের পরিবর্তে বিচলি নিয়ে বাড়ি যেতে হবে। ধান পোকায় খেয়ে ফেলেছে। ষোলো আনা ধানের চার আনাই নেই। বাকি যেটুকু আছে তার অবস্থাও ভালো না। তার ওপর বৃষ্টি নেই, সঙ্গে রোদের তাপের প্রখরতায় পোকার আক্রমণ বেশি হচ্ছে।’ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, ধানে পোকা আক্রমণের কোনো খবর আমাদের জানা নেই। তাই এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে পারব না।স্থানীয় কৃষক ইদ্রিস আলী জানান,আমরা বারবার ওষুধ দিচ্ছি, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। গাছগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পুরো ফসল শেষ হয়ে যাবে।কৃষক ওমর ফারুক বলেন,সারা বছরের খরচের ভরসা ছিল এই বোরো ধান। এখন মাজরা পোকার আক্রমণে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত কোনো ব্যবস্থা না নিলে পথে বসতে হবে। আরেক কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, বাজার থেকে দামি দামি ওষুধ কিনে প্রয়োগ করেছি, তাতেও লাভ হয়নি। কৃষি অফিস থেকেও কোনো কার্যকর সহায়তা মেলেনি। এখন ধার দেনা কীভাবে শোধ করবো, তা নিয়ে চিন্তায় আছি।গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply