বৃটিশ আমলে বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত ও মেহেরপুরের মুন্সি জমিরুদ্দীন বলেন নবীগণ সর্বপ্রকার 'মুত্যুজনক' পাপ হইতে সুরক্ষিত ও বিমুক্ত অর্থাৎ নিস্পাপ( এক শত পর্ব )

বৃটিশ আমলে বিখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত ও মেহেরপুরের মুন্সি জমিরুদ্দীন বলেন নবীগণ সর্বপ্রকার 'মুত্যুজনক' পাপ হইতে সুরক্ষিত ও বিমুক্ত অর্থাৎ নিস্পাপ( এক শত পর্ব ) নবীগণ সর্বপ্রকার 'মুত্যুজনক' পাপ হইতে সুরক্ষিত ও বিমুক্ত অর্থাৎ নিস্পাপ অন্তিম নবী হজরত মোহাম্মদ ছাল্লাল্লাহ আলায়হে ওয়াছাল্লামের নিষ্পাপাপ থাকা ন৷ থাকা প্রশ্ন লইয়া বর্তমানকালে যেন একট। হলস্থল পড়িয়া গিয়াছে। হজরত মোহাম্মদ (স:)মের নিষ্পাপ থাকা সম্বন্ধে কয়েকখানি ক্ষুদ্র পুস্তিকাতে পাত্রী সাহেবের কোরাণ শরীফের করেকটা আয়েতের অযথা ব্যাখ্যা এবং তৎপর সম্বন্ধে অযথা মত প্রকাশ করতঃ বর্তমান আন্দোলন উপস্থিত করিয়াছেন। যাহা হউক হজরত মোহাম্মদ (সঃ) নিষ্পাপ কি না এই প্রশের পরিক্ষার সিদ্ধান্ত করিতে হইলে প্রথমতঃ পাপ কি? এবং তাহ! কয় প্রকার? হজরত মোহাম্মদের (সঃ) পূর্ববত্তী নবীগণ নিষ্পাপ ছিলেন কি না? এই সকল বিষয়ের সমালোচনা করা আবশ্যক । তৎপর আমরা আমাদের নবী-কুলমনি যে নিষ্পাপ তাহা পাঠকবর্গকে দেখাইতে চেষ্টা করিব! সদাপ্রভু ঈশুর ( খোদাতায়লা ) খোদাতায়ালার প্রতি অকৃতজ্ঞতাব্যঞ্জক, খোদাতায়ালার অসন্তোষ উৎপাদক, খোদাতায়ালার অবমাননাকর যে কোন বাক্য বল৷ কিন্বা কায্য করা এবং প্রকাশিত বাক্যণিচয়ের অন্তর্গত আদেশ-্চক্রের (শরাশরিয়ত) বহিভূত হওয়াই পাপ। পাপ প্রধানতঃ দুই শ্রেণীতে বিভজ্ঞ, তাহার মধ্যে কতকগুলি “মৃত্যাজনক' আর কতকগুলি মৃত্যুজনক নহে ; যেমন সাধু যোহণের প্রথম পত্রের ৫ম অধ্যায় ষোল পদ হইতে লিখিত আছে, “যদি আপন ভ্রাতাকে পাপ করিতে দেখে, যাহ। মুত্যুজনক নহে, তবে সে যাচ্ঞা করিবে এবং উহাকে, যাহার পাপকর্ম মৃত্যুজনক নহে, এমন লোককে জীবন দিবে। মৃত্যুজনক পাপও আছে, তাহার বিষয় তাহাকে বিনতি করিতে হয় ইহা বলিদা। বাবতীয় অধাশ্মিকতা তে৷ পাপ; পরন্ত যাহ। মৃত্যুজনক নহে, এমন পাপ আছে।” ইযসলামিক বিশ্বাসানূসারে নবীগণ সব্বপ্রকার 'মুত্যুজনক' পাপ হইতে সুরক্ষিত ও বিমুক্ত (মাসুম) অর্থাৎ নিস্পাপ। সুত্র:বাংলা একাডেমী,, গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।