হাঁসের বাচ্চা চুনা পায়খানা হওয়ার কারন, রোগের বিস্তার, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ টিকা কর্মসূচি বসতবাড়িতে পালিত হাঁস বিভিন্ন রকম রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ হচ্ছে- রানীক্ষেত, বসন্ত, গামবোরো, মারেক্স, পক্ষাঘাত, রোগ ইত্যাদি। ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ কলেরা, টাইফয়েড, সাদা উদরাময়, এভিয়ান সালমোনেলোসিস। আর ছত্রাকজনিত রোগ গুলো হলো ব্রুডার নিউমোনিয়া, ফেভাস, থ্রাস, মাইকোটিক্সিকোসিস। এছাড়া পরজীবী ঘটিত রোগ হচ্ছে মাইকোপ্লাজমোসিস, ককসিডিওসিস, কৃমি, উকুন ইত্যাদি। সবগুলো রোগকে আধুনিক কৃষি খামার সিরিজ করে প্রকাশ করা শুরু করেছে। আপনি না দেখে থাকলে লিঙ্ক ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন- রোগের বিস্তার
গামবোরো রোগ সাধারণত ৩-৬ সপ্তাহের হাসের বাচ্চায় তীব্র আকারে দেখা দেয়। তবে ০-৩ সপ্তাহের বাচ্চায় এ রোগ হতে পারে। হাস ছাড়া মুরগী টার্কি এবং গিনি ফাউলে এ রোগ হয়। আক্রান্ত বাচ্চা হাসের পায়খানার মাধ্যমে এই ভাইরাস পরিবেশে আসে, পরে দূষিত খাদ্য, পানি এবং লিটারের (মুরগির বিছানা) মাধ্যমে এ ভাইরাস এক মুরগি থেকে অন্য হাসে ছড়ায়। বিভিন্ন ধরনের জীবাণুনাশক এবং পরিবেশের বিরুদ্ধে এই ভাইরাস প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে এবং আক্রান্ত হাসের ঘরে এই ভাইরাস ৪মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তাই কোন ফ্লক একবার আক্রান্ত হলে পরবর্তী ফ্লক আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বাচ্চার দেহে এ রোগের মা থেকে প্রাপ্ত এন্টিবডির মাত্রা না জেনে টিকা দিলে এ রোগ হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের ধকল এ রোগ হওয়ার জন্য সহায়ক ভূমিকা হিসেবে পালন করে। ক্রটিযুক্ত টিকার মাধ্যমে এ রোগ ছড়াতে পারে। রোগের লক্ষণ বাহ্যিক লক্ষণ- বাহ্যিক লক্ষণ দেখে এ রোগ নির্ণয় করা কষ্টকর। অন্যান্য হাসের রোগের মতো এ রোগ লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে। সাধারণত নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা যায়– হঠাৎ করে শুরু হয় এবং মৃত্যুর হার বেড়ে যায়। সাধারণত আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ২দিন মৃত্যুর হার বেশি থাকে এবং শেষের ২-৩ দিনের মধ্যে মৃত্যুর হার দ্রুত কমে যায়। হাসের পালক উসকো-খুসকো থাকে। পাতলা পায়খানা করে, পায়খানায় চুনের পরিমাণ বেশি থাকে এবং পানিশূন্যতায় ভোগে। অনেক হাস নড়া-চড়া করতে অনীহা দেখায় এবং একজায়গায় বসে থাকে। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং কাঁপতে থাকে। হাসের মধ্যে ঝিমানো ভাব দেখা যায়। খাদ্য ও পানি গ্রহণ করার ক্ষমতা কমে যায় যার ফলে ওজন হ্রাস পায়। অনেক হাসের পা ল্যাংড়া হয়ে যায়। অভ্যন্তরীণ লক্ষণ– মৃত হাসের ব্যবচ্ছেদ করে গামবেরো রোগে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যায়। মুরগির পা ও রানের মাংসের ওপর রক্তের ছিটা দেখা যায়। বার্সা ফুলে যায় এবং বার্সা কাটলে ভিতরে রক্তের ছিটা এবং পুঁজ পরিলক্ষিত হয়। তবে রোগের শেষ পর্যায়ে বার্সা আকারে ছোট হয়ে যায়। মুরগির বৃক্ক ফুলে ফ্যাকাশে দেখা যায়। চিকিৎসা সাধারণত ভাইরাসজনিত রোগের কোনো চিকিৎসা নাই। দ্বিতীয় পর্যায়ের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য এন্টিবায়োটিক (অক্সিটেট্রা সাইক্লিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন) ব্যবহার করা হয় এবং তার সঙ্গে ভিটামিনস (ভিটামিন-সি), ইলেকট্রোলাইট দিলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। রোগ হলে স্থানীয় প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রতিরোধ টিকা কর্মসূচি গামবোরো রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা ব্যবহার করতে হবে। যে কোন বাচ্চার টিকা দেয়ার আগে মা থেকে প্রাপ্ত এন্টিবডির মাত্রা জেনে নিতে হবে। সুস্থ বাচ্চাকে টিকা দিতে হবে এবং অসুস্থ বাচ্চাকে টিকা দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। টিকা দেয়ার সময় বাচ্চার ওপর যেন কোনো ধকল না পরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাচ্চার ক্ষেত্রে সাধারণত চৌদ্দ দিন বয়সে জীবন্ত টিকা দেয়া হয়। টিকা ড্রপারের মাধ্যমে বা খাওয়ার পানির মাধ্যমে দেয়া যেতে পারে। গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।Slider
দেশ
মেহেরপুর জেলা খবর
মেহেরপুর সদর উপজেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
যাবতীয়
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Home
»
national
»
politics
»
world
»
Zilla News
» হাঁসের বাচ্চা চুনা পায়খানা হওয়ার কারন, রোগের বিস্তার, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ টিকা কর্মসূচি
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: