Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » সপ্তম শতকে চীনা পরিব্রাজক হিউয়েনের ভ্রমন কালে যে বিবরণ পাওয়া যায় তা সমতট বা বঙ্গের অধীনে ছিল মেহেরপুর ( চুয়াল্লিশ পর্ব)




সপ্তম শতকে চীনা পরিব্রাজক হিউয়েনের ভ্রমন কালে যে বিবরণ পাওয়া যায় তা সমতট বা বঙ্গের অধীনে ছিল মেহেরপুর ( চুয়াল্লিশ পর্ব) মহাভারত, রঘুবংশ ও অন্যান্য পুরাণাদিতে যে বিবরণ পাওয়া যায় তা থেকে ধারণা করা হয় যে মেহেরপুর রঘুবংশের সমসাময়িক কালে অর্থাৎ খৃষ্টীয় পঞ্চম শতকে বঙ্গ রাজ্যের (পূর্ব বঙ্গের) অধীনে ছিল। সপ্তম শতকে চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং-এর ভ্রমন কালে মেহেরপুর সমতট বা বঙ্গের অধীনে ছিল। ঐ সময়কাল থেকে ত্রয়োদশ শতকে মুসলিম শাসনের আগমন পর্যন্ত মেহেরপুর বঙ্গ বা গৌড়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল।

বাংলার ঐতিহাসিক কাল শুরু গুপ্ত যুগ থেকে। বাংলার অন্যান্য অঞ্চলের মতো মেহেরপুরও গুপ্ত যুগে তিনি শত কুড়ি খ্রষ্টাব্দি থেকে পাচ শত কুড়ি গুপ্ত সাম্রাজ্যের অধিভুক্ত ছিল। গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর রাজা শশাঙ্ক (আনুমানিক-৬শত ছয় খৃস্টাব্দি) গৌড় অধিপতি স্বাধীন নৃপতি হিসাবে বাংলা শাসন করেন। তার মৃত্যুর পর ভয়াবহ রাজনৈতিক সঙ্কটের সৃষ্টি হয়। ৭ শত পঞ্চাশ খৃষ্টাব্দে গোপালকে গৌড়ের শাসনকর্তা নির্বাচিত করা হয় এবং এভাবে বাংলায় পালরাজ্যের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। পালদের কাছ থেকে গৌড় তথা বাংলার কর্তৃত্ব দক্ষিণাত্য (কর্ণাটক) থেকে আগত সেন বংশ অধিকার করে নেয়। পাল বংশের সর্বশেষ নৃপতি মদনপাল এগারো শত চল্লিশ থেকে এগারো আটান্ন ) কে যুদ্ধে পরাজিত করে সামন্তসেনের পুত্র বিজয়সেন একহাজার পচানব্বই সালে গৌড় অধিকার করেন। গৌড়ের সাথে সাথে মেহেরপুর অঞ্চলও সেন বংশের অধীনে আসে। এগারো শত পরোরো সাল বিজয়সেনের পুত্র বল্লাল সেন সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। এগারো শত উনআশি বল্লাল সেন তার পুত্র লক্ষণসেনের হাতে রাজ্যভার অর্পণ করে সিংহাসন ত্যাগ করেন। সেন বংশের শেষ নৃপতি লক্ষণ সেনের রাজত্বকালে মেহেরপুরের আমদহ এবং বাগোয়ান সমৃদ্ধ জনপদ ছিল। প্রাচীন ইতিহাস হলো মানব ইতিহাস লেখার শুরু থেকে শুরু করে প্রাচীনকালের শেষের দিকে পর্যন্ত একটি সময়কাল । লিপিবদ্ধ ইতিহাসের ব্যাপ্তি প্রায় ৫, হাজার বছর, যা সুমেরীয় কিউনিফর্ম লিপির বিকাশের মাধ্যমে শুরু হয় । প্রাচীন ইতিহাস ৩ হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৫ শত খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত মানুষের বসবাসকারী সমস্ত মহাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা প্রাচীনকালের শেষের দিকে ইসলামের বিস্তারের সাথে শেষ হয়। ত্রি -যুগীয় ব্যবস্থা প্রাচীন ইতিহাসকে প্রস্তর যুগ , ব্রোঞ্জ যুগ এবং লৌহ যুগে বিভক্ত করে , যেখানে লিপিবদ্ধ ইতিহাস সাধারণত ব্রোঞ্জ যুগ দিয়ে শুরু বলে মনে করা হয়। তিনটি যুগের শুরু এবং শেষ বিশ্ব অঞ্চলের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। অনেক অঞ্চলে ব্রোঞ্জ যুগ সাধারণত ৩ হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দের কয়েক শতাব্দী আগে শুরু হয় বলে মনে করা হয়, অন্যদিকে লৌহ যুগের শেষ কিছু অঞ্চলে খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দের শুরু থেকে অন্য অঞ্চলে খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দের শেষ পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়।গ্রন্থনা:অধ্যক্ষ মহসীন আলী আঙ্গুঁর ,সম্পাদক ও প্রকাশক, মুজিবনগর খবর ডট কম,মেহেরপুর।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply